
ইসলামাবাদ: ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার সময় দায় অস্বীকার করেছিল পাকিস্তান। ৬ বছর পর পাকিস্তান নিজেই সেই হামলার দায় স্বীকার করে নিল। সাংবাদিক বৈঠকে পাকিস্তানের এয়ার ফোর্স অফিসার মুখ ফসকে বলে বসলেন, “পুলওয়ামায় ট্যাকটিক্যাল ব্রিলিয়ান্স দেখিয়েছিল“। এরপরই বিতর্ক শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের স্বীকারোক্তির পর ভারত কী পদক্ষেপ করবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা চালায় জঙ্গিরা। শহিদ হন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। সেই সময়ই ভারত অভিযোগ করেছিল যে এই জঙ্গি হানার পিছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে। কিন্তু স্বভাবসিদ্ধ ভাবেই পাকিস্তান সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।
এতদিন বাদে, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা, তার প্রত্য়াঘাতে ভারতের অপারেশন সিঁদুর এবং পাকিস্তানের হামলার পর সে দেশের এক বায়ুসেনা কর্তাই স্বীকার করে নিলেন পুলওয়ামার হামলার পিছনে পাকিস্তানেরই হাত ছিল। এয়ার ভাইস মার্শাল ঔরঙ্গজেব আহমেদ এক সাংবাদিক বৈঠকে বলে বসেন, “পুলওয়ামা দিয়েই আমরা আমাদের কৌশলগত দক্ষতা বোঝাতে চেয়েছিলাম।”
ভারতকে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, “যদি পাকিস্তানের জল, মাটি, আকাশ বা এর মানুষদের হুমকি দেওয়া হয়, তবে কোনও আপোষ করা হবে না। কোনও কিছু নজর এড়োবে না। পাকিস্তানের মানুষের সেনার উপরে যে গর্ব ও বিশ্বাস রয়েছে, তা আমরা সবসময় অক্ষুণ্ণ রাখার চেষ্টা করি যে কোনও মূল্যে। আমরা পুলওয়ামা দিয়ে আমাদের কৌশলগত দক্ষতা বোঝাতে চেয়েছিলাম, এখনও আমরা দক্ষতা দেখিয়েছি।”
আহমেদের এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই, পাকিস্তান মিলিটারি সাফাই দিয়ে বলে যে এয়ার ভাইস মার্শাল অপারেশন সুইফ্ট রিটর্টের কথা বলছিলেন, যা ভারত বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিতে হামলার পর পাকিস্তান ২৭ ফেব্রুয়ারি চালিয়েছিল। এই অভিযানেই নিয়ন্ত্রণ রেখায় আকাশে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত হয়। পাকিস্তানের হাতে আটক হয়েছিলেন অভিনন্দন বর্তমান। ভারতের চাপে তাঁকে ফেরত দিতেও বাধ্য হয় পাকিস্তান।
প্রতিবেদনটি সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে লেখা।