পাকিস্তানের মাটি থেকে নাকি জঙ্গি ‘উধাও’! ব্যাপক সাফল্যের দাবি পাক সেনা প্রধানের

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও সরকার মিলে সন্ত্রাসবাদকে পরাস্ত করতে পেরেছে বলে দাবি পাক সেনা প্রধানের।

পাকিস্তানের মাটি থেকে নাকি জঙ্গি 'উধাও'! ব্যাপক সাফল্যের দাবি পাক সেনা প্রধানের
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2021 | 1:11 PM

ইসলামাবাদ: জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর বলেই বারবার অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের মাটি থেকেই বারবার সন্ত্রাসের ছক কষা হয়েছে। জঙ্গি সংগঠনেরগুলির মাথারাও যে পাকিস্তানেরই বিভিন্ন প্রান্ত ঘাঁট গেড়ে আছে, সে প্রমাণও মিলেছে একাধিকবার। আর সেই পাকিস্তানের সেনাপ্রধানই এবার দাবি করলেন পাকিস্তান নাকি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইতে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এমনটাই বললেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। সেনাবাহিনী ও সরকারের সহযোগিতায় সেটা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

পাকিস্তানের রাওয়ালিপিণ্ডিতে ডিফেন্স অ্যান্ড মার্টিয়ার ডে পালন করছিল পাক সেনা। সোমনার সন্ধেয় সেই অনুষ্ঠানেই হাজির হন পাক সেনা প্রধান বাজওয়া। তিনি বলেন, ‘দেশের সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর যৌথ প্রয়াসে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইতে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে পাকিস্তান। দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে।’ তিনি আরও দাবি করেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরকারের প্রয়াস একটা সুরক্ষা বলয় তৈরি করেছে দেশের জন্য। আর তাতেই দুষ্কৃতীদের সব কৌশল পরাস্ত হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘দেশের সরকারের সমর্থন ছাড়া কোনও সেনাবহিনী লড়াই করতে পারত না।’

আফগানিস্তানের পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আফগানিস্তানে এমন সরকার গঠন হতে চলেছে, যাতে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশের পরিস্থিতি বদলে যায়। কয়েকদিন আগেই পাক সেনাপ্রধান জানিয়েছিলেন আফগানিস্তানে প্রশাসন গড়তে তালিবানকে সাহায্য করবে ইসলামাবাদ। ব্রিটিশ বিদেশ সচিবের সঙ্গে এক আলোচনায় এই মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তিনি আরও বলেছিলেন যে আফগানিস্তানের শান্তির এবং স্থিতাবস্থার জন্য লড়াই করবে পাকিস্তান। একই সঙ্গে আফগান সরকার গঠনে সবরকম ভাবে সাহায্য করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

পাকিস্তানের গোয়েন্দা প্রধান তথা আইএসআই চিফ সদ্য কাবুল সফরে গিয়েছিলেন। আইএসআই প্রধান চিফ জেনারেল ফইজ হামিদের সেই সফরে প্রশ্ন ওঠে, সরকার গঠনে পাকিস্তান কি ভূমিকা নিচ্ছে? সূত্রের খবর আফগানিস্তানের নতুন সরকার গঠন হলে যাতে হাক্কানি গ্রুপের নেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হয় সে কথা বলতেই উদ্যোগী হয় পাকিস্তান। আফগানিস্তানের রাজনীতিক মরিয়ম সোলাইমানখিল একটি টুইটে লেখেন, ‘আমি যতদূর জানি মোল্লা বরাদরকে যাতে সরকার প্রধান না করা হয় এবং হাক্কানি নেট্ওয়ার্কের নেতাকে যাতে মাথায় বসানো হয় সে জন্যই এসেছে পাকিস্তানের আইএসআই এর ডিজি। শোনা যাচ্ছে বরাদরকে নিয়ে নাকি তালিবানের একাংশের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। এমনকি বরাদরের অনুগামীরা যাতে পঞ্জশীর দখলের লড়াইতে যোগ না দেয় সেই বার্তাও নাকি দেওয়া হয়েছে। একসময় এই বরাদরকে বন্দি করেছিল পাকিস্তানের আইএসআই।

তাই সম্ভবত বরাদরকে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর তালিকা থেকে বাদ রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সামনে আসছে নয়া নাম। বেছে নেওয়া হতে পারে তালিবান নেতা মোল্লা হাসান আখুন্দকে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সন্ত্রাসবাদীর তালিকায় নাম রয়েছে আখুন্দের। আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: হাতে মোটা টাকার বান্ডিল, প্রতিরোধ বাহিনীর সদস্যদের হাতে টাকা গুঁজে দিচ্ছে তালিবান!