Sanskrit in Pakistan: পাকিস্তানের ক্লাসরুমে শোনা গেল সংস্কৃত, পড়ানো হচ্ছে গীতা-মহাভারত! স্বাধীনতার পর প্রথমবার…

Sanskrit Study: প্রথম সপ্তাহের পড়ানোর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে তিনি বলেন, "আমি যখন সুভাষিতা পড়াচ্ছিলাম, তখন ছাত্র-ছাত্রীরা অবাক হয়ে গিয়েছিল যে উর্দু কতটা সংস্কৃত থেকে অনুপ্রাণিত। অনেকে তো জানতও না যে হিন্দি আর সংস্কৃত-দুটো আলাদা ভাষা।"

Sanskrit in Pakistan: পাকিস্তানের ক্লাসরুমে শোনা গেল সংস্কৃত, পড়ানো হচ্ছে গীতা-মহাভারত! স্বাধীনতার পর প্রথমবার...
পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হচ্ছে সংস্কৃত।Image Credit source: X

|

Dec 13, 2025 | 6:48 AM

ইসলামাবাদ: পাকিস্তানে ইতিহাস। দেশভাগের পর প্রথমবার পাকিস্তানি ক্লাসরুমে পড়ানো হচ্ছে সংস্কৃত। মহাভারত থেকে ভগবত গীতার শ্লোক পড়ছেন পাকিস্তানি পড়ুয়ারা। মহাভারত সিরিয়ালের ‘হ্যায় কথা সংগ্রাম কি’ টাইটেল ট্র্যাকও শোনা যাচ্ছে উর্দুতে। লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স এই ঐতিহাসিক উদ্যোগ নিয়েছে।

আর তিন মাসের ওয়ার্কশপ নয়, পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ কোর্স পড়ানো হবে সংস্কৃতের। পড়ুয়া ও শিক্ষাবিদদের থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ২০২৭ সালের মধ্যে সংস্কৃতকে বার্ষিক কোর্সে পরিণত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

সংস্কৃতকে পাকিস্তানে পুনর্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন অধ্যাপক শাহিদ রশিদ। তিনি ফোরম্যান খ্রিস্টান কলেজে সোশিওলজি পড়ান। তাঁর কথায়, এই পদক্ষেপ ছোট হলেও, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ এশিয়ার দর্শন, সাহিত্যকে গঠন করেছে সংস্কৃত, তাই এই ভাষা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েই পড়া উচিত।

দ্য ট্রিবিউনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কেন আমরা শিখব না? এই ভাষা গোটা অঞ্চলকে একসুতোয় বেঁধেছে। পানিনির গ্রাম এখানে ছিল। সিন্ধু সভ্যতার সময়ে অনেক কিছু এখানে (পাকিস্তান) লেখা হয়েছিল। আমাদের এই ভাষা গ্রহণ করা উচিত, এটা আমাদেরও। কোনও একটি ধর্মের সঙ্গে বাঁধা নয় এই ভাষা।

উল্লেখ্য, সংস্কৃত ব্যকরণবিদ পানিনি থাকতেন গন্ধরায়, যা বর্তমানে খাইবার-পাখতুনখা।

অধ্যাপক রশিদ জানিয়েছেন যে যখন প্রথম সংস্কৃত নিয়ে পঠন-পাঠন শুরু হয়, পড়ুয়ারা ভয় পেত। তবে দ্রুত তারা সেই ভাষাকে আত্মস্থ করে নিয়েছে। প্রথম সপ্তাহের পড়ানোর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে তিনি বলেন, “আমি যখন সুভাষিতা পড়াচ্ছিলাম, তখন ছাত্র-ছাত্রীরা অবাক হয়ে গিয়েছিল যে উর্দু কতটা সংস্কৃত থেকে অনুপ্রাণিত। অনেকে তো জানতও না যে হিন্দি আর সংস্কৃত-দুটো আলাদা ভাষা।”

ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরমানি সেন্টারের ডিরেক্টর ডঃ আলি উসমান কাশমি জানান যে পঞ্জাব ইউনিভার্সিটিতে সংস্কৃত নথির বিশাল সম্ভার রয়েছে। ১৯৩০ সালে তাল পাতায় লেখা এই সংস্কৃত পাণ্ডুলিপি গুলি ক্যাটালগ করা হয়, কিন্তু দশকের পর দশক ধরে কোনও পাকিস্তানি পণ্ডিত এই পাণ্ডুলিপি নিয়ে পড়াশোনা বা গবেষণা করেননি। এবার পাকিস্তানের মাটিতেই সংস্কৃত পড়ানো শুরু হওয়ায় সেই চিত্র বদলাবে। তাদের আশা, আগামী ১০-১৫ বছরে পাকিস্তান থেকে গীতা ও মহাভারত বিশেষজ্ঞ উঠে আসবে।