ইসলামাবাদ: প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে গণনা চলছে পাকিস্তানে। দু রাত গণনা হওয়ার পরও স্পষ্ট হল না ভোটের ফলাফল। এদিকে ফল প্রকাশের আগেই ইমরান খানের দল পিটিআই ও নওয়াজ শরিফ উভয়েই জয়ের কথা ঘোষণা করায় বেড়েছে জল্পনা। কার হাতে থাকবে পাক মসনদ? সেই উত্তর এখনও অন্ধকারে। কার ঝুলিতে শেষ পর্যন্ত কত আসন যাবে, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তার মধ্যেই শুরু হয়ে গেল জোট নিয়ে আলোচনা। সূত্রের খবর, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএলএন ও আসিফ আলি জারদারির দল পিপিপি সরকার গঠনের জন্য জোটে রাজি হয়েছে।
শুক্রবারই নওয়াজ শরিফ দাবি করেন, তিনি জয়ী হয়েছেন। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় সরকার গঠন করতে পারবেন তিনি। তার জন্য অন্যান্য দলের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন নওয়াজ শরিফ। শনিবার সকালে পাক একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই জোট নিয়ে বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে ও জোট সরকার গড়তে রাজি হয়েছে দুই দল।
পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)-এর তরফে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির তরফে উপস্থিত ছিলেন আসিফ আলি জারদারির পুত্র বিলাওয়াল ভুট্টো।
প্রতিবেদনটি লেখার সময় পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানে ইমরান সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে ৯১টি আসনে, পিএমএলএন জয়ী হয়েছে ৭১টি আসনে ও পিপিপি জয়ী হয়েছে ৫৩টি আসনে। অর্থাৎ ইমরান খান সেই দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন। এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতায় থাকতে হলে জোটই গড়তে হবে নওয়াজ শরিফকে।