
নয়াদিল্লি: ঢাল নেই তরোয়াল নেই, নিধিরাম সর্দার। পাকিস্তানের অবস্থাটা আপাতত এরকমই। পহেলগাঁওয়ে ঘটা সন্ত্রাস হামলার পর থেকেই বিষিয়ে গিয়েছে দুই দেশের সম্পর্ক। তৈরি হয়েছে যুদ্ধ-যুদ্ধ আবহ। প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে দুই দেশের সেনাও।
কিন্তু যুদ্ধ লাগলে কতক্ষণই বা টিকে থাকতে পারবে পাকিস্তান? একটি পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, ভারতের সামনে কেন বিশ্বের প্রায় যে কোনও দেশের সামনেই টেকা দায় তাদের। কারণ, টিকে থাকতে গেলে চাই অর্থবল, সামরিক সরঞ্জামের বল। সেটা এখন নেই তাদের। আর এই কথা এক ফাঁস হওয়া চিঠিতে স্বীকার করে নিচ্ছেন খোদ তাদেরই এক সেনা কর্তা।
কী লেখা রয়েছে সেই চিঠিতে?
ফাঁস হওয়া এই চিঠিটি পাকিস্তানে সেনাপ্রধান অসীম মুনিরকে পাঠিয়েছেন পাকিস্তানের সেনার ইলেভেন কর্পস এর ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাশিফ নাজির। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, দেশের সেনাবাহিনীর অন্দরে অর্থ থেকে খাদ্য ঘাটতি রয়েছে সব কিছুরই।
অসীম মুনিরের কাছে পাঠানো চিঠি অনুযায়ী, বর্তমানে পাকিস্তানি সেনার প্রতিটি ব্যাটেলিয়নে নেই প্রয়োজনীয় ফান্ডিং। তহবিলে মোট অভাব রয়েছে ৬ লক্ষ ৮২ হাজার পাকিস্তানি রুপির। এছাড়াও, প্রতিটি ব্যাটেলিয়নে নেই যথাযথ অস্ত্র-সরঞ্জাম। বেশ কিছু কামান-বারুদ বিকল হয়ে পড়েছে। শুধু তা-ই নয়, জওয়ানদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় সরঞ্জামেরও বিরাট ঘাটতি দেখা গিয়েছে।
একটি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যা অবস্থা তাতে যে কটা সক্রিয় কামান-বারুদ রয়েছে তা দিয়ে টানা মাত্র চারদিন যুদ্ধ চালাতে পারবে তারা।
কিন্তু তাদের অস্ত্র-ভান্ডারে কেন এত ঘাটতি? জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিককালে ইউক্রেন ও ইজরায়েলের সঙ্গে তাদের করা অস্ত্র-চুক্তির কারণে ফাঁকা হয়েছে পাক ভান্ডার। তবে এই সঙ্কটকে কাটিয়ে উঠতে ময়দানে নেমে পড়েছে পাকিস্তান অর্ড্যান্স ফ্যাক্টরিস। এই সংস্থার হাতেই থাকে পাকিস্তানি সেনাকে অস্ত্র ও তার সরঞ্জাম পাঠানোর দায়িত্ব। সূত্রের খবর, বিশ্বব্যাপী চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এবার পাকিস্তানের অন্দরে তৈরি হওয়া অস্ত্রভান্ডারের ঘাটতি মেটাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নেমে পড়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, যখন দেশের অস্ত্রভান্ডার তথা গোটা সেনাবাহিনীরই এমন নড়বড়ে দশা। সেই অবস্থায় বড় বড় বুলি কাটতে ছাড়ছেন না পাক নেতারা। প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলওয়াল ভুট্টোর দাবি, ভারতের নদী দিয়ে রক্তের স্রোত বয়াবে তারা। অন্যদিকে, রুশে থাকা পাক রাষ্ট্রদূতের দাবি, পরমাণু হামলা করতেও পিছপা হবে না পাকিস্তান।