Nawaz Sharif: ‘ভারত চাঁদে পৌঁছে গেল, আর পাকিস্তান ভিক্ষা চাইছে!’, দেশে ফেরার আগেই বিস্ফোরক নওয়াজ

Pakistan Financial Crisis: দীর্ঘ সময় ধরে ব্রিটেনে থাকলেও সম্প্রতিই দেশে ফেরার কথা ঘোষণা করেছিলেন নওয়াজ শরিফ। আগামী ২১ অক্টোবর তিনি পাকিস্তানে ফিরছেন।

Nawaz Sharif: 'ভারত চাঁদে পৌঁছে গেল, আর পাকিস্তান ভিক্ষা চাইছে!', দেশে ফেরার আগেই বিস্ফোরক নওয়াজ
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2023 | 11:03 AM

ইসলামাবাদ: ভারত যেখানে চাঁদে পৌছে গেল, আর সেখানেই পড়শি দেশ হয়েও পাকিস্তান(Pakistan)-কে আর্থিক সাহায্যের জন্য বিশ্বের কাছে হাত পাততে হচ্ছে! দেশের চরম আর্থিক সঙ্কট নিয়ে এভাবেই ক্ষোভ উগরে দিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ (Nawaz Sharif)। দেশের এই দুর্দশার জন্য প্রাক্তন  জেনারেল ও বিচারপতিদেরই দোষারোপ করলেন তিনি।

বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তানের অর্থনীতি নিম্নমুখী। চলতি বছরের গোড়াতেই দেশের অর্থনীতি তলানিতে পৌঁছয়, চরম অর্থ ও খাদ্য সঙ্কটের সৃষ্টি হয়। পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি এতটাই বেড়েছে যে চাল-ডাল-আটার দাম কেজি প্রতি ২০০ টাকা পার করেছে। পেট্রোলের দাম সাড়ে ৩০০ টাকায় পৌঁছেছে। দেশের যখন এই হাল, সেই সময়ই ভারত একদিকে যেমন চাঁদে সফলভাবে চন্দ্রযান-৩ পাঠিয়েছে, তেমনই আবার সম্প্রতি জি-২০-র সভাপতিত্বও করেছে। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে এই ব্যাপক তারতম্য নিয়েই মুখ খুলেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।

দীর্ঘ সময় ধরে ব্রিটেনে থাকলেও সম্প্রতিই দেশে ফেরার কথা ঘোষণা করেছিলেন নওয়াজ শরিফ। আগামী ২১ অক্টোবর তিনি পাকিস্তানে ফিরছেন। তার আগেই সোমবার তিনি লন্ডন থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে লাহোর অনুষ্ঠিত একটি দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন নওয়াজ শরিফ। সেই বৈঠকেই  তিনি বলেন, “আজ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীরা দেশে দেশে গিয়ে আর্থিক সাহায্যের জন্য ভিক্ষা চাইছেন, আর সেখানেই ভারত চাঁদে পৌঁছে গিয়েছে, জি-২০ বৈঠক করছে। কেন পাকিস্তান ভারতের মতো সাফল্য অর্জন করতে পারল না? এর জন্য কে দায়ী?”

তিনি আরও বলেন, “যখন অটল বিহারী বাজপেয়ীজি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখন তাদের ঝুলিতে মাত্র কয়েক বিলিয়ন ডলার ছিল। আর আজ ওদের বিদেশি অর্থের তহবিল ৬০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।”

প্রসঙ্গত, আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার বা আইএমএফ ১.২ বিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য দিয়েছে। দেশের অর্থনীতির হাল ধরতে আগামী ৯ মাস ধরে ৩ বিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য করবে আইএমএফ।