Pakistan Fuel Price Hike: পেট্রোল লিটার প্রতি ২৫০ রুপি, ২৬২ পার করল ডিজেল! জ্বালানির দাম বাড়িয়ে আরও জ্বালা বাড়াল পাকিস্তান
Financial Crisis: অর্থমন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক স্তরে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও পাকিস্তানি মুদ্রার দামের পতন হওয়া সত্ত্বেও, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নির্দেশে এই চারটি পেট্রোপণ্য়ের ন্যূনতম মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে।
ইসলামাবাদ: এমনিতেই আর্থিক সঙ্কটে(Financial Crisis) ধুঁকছে দেশ। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার প্রায় শেষ, নগদ টাকাও খুব বেশি নেই দেশবাসীর কাছে। দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সঙ্কটও। এই পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেলের দাম এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়াল পাকিস্তান (Pakistan)। রবিবারই পাকিস্তান সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয় যে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম (Petrol & Diesel Price) ৩৫ টাকা করে বাড়ানো হচ্ছে। দাম বেড়েছে কেরোসিন ও লাইট ডিজেলেরও। লিটার প্রতি ১৮ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে দাম। একদিকে যেখানে বিশ্ব বাজারে পাকিস্তানি মুদ্রার দামে ব্যাপক পতন হচ্ছে, সেখানেই জ্বালানির দাম এক ধাক্কায় এতটা বাড়ায়, চরম সমস্যায় পড়বেন পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ।
রবিবারই পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক দর টেলিভিশন বার্তার মাধ্যমে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, পেট্রোল ও ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৩৫ টাকা বাড়ানো হচ্ছে। কেরোসিন ও লাইট ডিজেলের দামও লিটার প্রতি ১৮ টাকা করে বাড়ানো হচ্ছে। ২৯ জানুয়ারি থেকেই এই নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। বর্তমানে পাকিস্তানে হাই স্পিড ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ২৬২.৮০ রুপি, পেট্রোলের দাম ২৪৯.৮০ রুপি প্রতি লিটার, কেরোসিন তেলের দাম ১৮৯.৮৩ রুপি প্রতি লিটার এবং লাইট ডিজেল তেলের দাম ১৮৭ রুপি প্রতি লিটারে বেড়ে দাঁড়িয়েছে।
অর্থমন্ত্রী জানান, আন্তর্জাতিক স্তরে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও পাকিস্তানি মুদ্রার দামের পতন হওয়া সত্ত্বেও, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নির্দেশে এই চারটি পেট্রোপণ্য়ের ন্যূনতম মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আগে আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও বিগত চার মাস ধরে পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ানো হয়নি, বরং কমানো হয়েছিল বলেই তিনি জানান। এবারে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী বলেন, “তেল ও গ্যাসের নিয়ামক কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই এই দাম বাড়ানো হয়েছে। তারা জানিয়েছেন তেল সংগ্রহ করে রেখে কৃত্রিমভাবে জ্বালানি সঙ্কট তৈরি করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই পাকিস্তানি রুপির দাম প্রতি ডলারে সাপেক্ষে ৩৪ টাকা কমে দাঁড়ায়। যদিও পাকিস্তানের দাবি, আন্তর্জাতিক মনিটারি ফান্ডের তহবিল পেতেই তাদের পরামর্শ মতোই এক্সচেঞ্জ রেটের উপর থেকে ঊর্ধ্বসীমা তুলে নেওয়া হয়েছে।