Pakistan Inflation: ২২৮ শতাংশ বৃদ্ধি! চোখে জল আনছে পাকিস্তানে পেঁয়াজের দাম, ময়দা-সিগারেটের দামও বাড়ল ১০০ শতাংশের বেশি

Pakistan Financial Crisis: চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ভাগেই গ্যাসের চার্জ ১০৮.৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, ডিজেলের দামও বেড়েছে ১০২.৮৪ শতাংশ। পেট্রোলের দাম বেড়েছে ৮১.১৭ শতাংশ। খাবার পণ্যের মধ্যে চায়ের দাম বেড়েছে ৯৪.৬০ শতাংশ। কলার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে ৮৯.৮৪ শতাংশ।

Pakistan Inflation: ২২৮ শতাংশ বৃদ্ধি! চোখে জল আনছে পাকিস্তানে পেঁয়াজের দাম, ময়দা-সিগারেটের দামও বাড়ল ১০০ শতাংশের বেশি
বিনামূল্যে ময়দা সংগ্রহের জন্য সাধারণ মানুষের ভিড়। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 27, 2023 | 12:53 PM

ইসলামাবাদ: দু বেলা পেট ভরে খাবার তো দূরের কথা, এক মুঠো চাল জোটাতেই কালঘাম ছুটছে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের। আর্থিক সঙ্কটের জেরে দুর্দশায় পড়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে মূল্য়বৃদ্ধির হার। অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার আগেই দেশের মূল্যবৃদ্ধির হার (Inflation) বেড়ে ৪৭ শতাংশে পৌঁছেছে। পাকিস্তান ব্যুরো অব স্টাটিস্টিক্সের তরফে প্রকাশিত তথ্যে জানানো হয়েছে, বর্তমানে পাকিস্তানে মূল্যবৃদ্ধির হার ৪৭ শতাংশে পৌঁছেছে। এরফলে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর দাম হু হু করে বাড়ছে।

পাকিস্তান ব্যুরো অব স্টাটিস্টিক্সের তরফে প্রকাশিত তালিকায় মোট ২৬টি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। দাম কমেছে ১৩টি অত্য়াবশ্যকীয় সামগ্রীর, দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টি পণ্যের। যে সমস্ত পণ্যের রেকর্ড হারে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে, তার মধ্য়ে এক নম্বরেই রয়েছে পেঁয়াজ। জানা গিয়েছে, আর্থিক সঙ্কট ঘনিয়ে আসার পর পাকিস্তানে পেঁয়াজের দাম ২২৮.২৮ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। ১৬৫.৮৮ শতাংশ দাম বৃদ্ধি হয়েছে সিগারেটের। ময়দার দাম বেড়েছে ১২০.৬৬ শতাংশ।

চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ভাগেই গ্যাসের চার্জ ১০৮.৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, ডিজেলের দামও বেড়েছে ১০২.৮৪ শতাংশ। পেট্রোলের দাম বেড়েছে ৮১.১৭ শতাংশ। খাবার পণ্যের মধ্য়ে চায়ের দাম বেড়েছে ৯৪.৬০ শতাংশ। কলার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে ৮৯.৮৪ শতাংশ। ভাঙা বাসমতী চাল, যার একটা বড় অংশই ভারত থেকে আমদানি করা হয়, তার দাম বেড়েছে ৮১.২২ শতাংশ। ডিমের দামও ৭৯.৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ১৭ মার্চ অবধি পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ১০.১৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। উল্লেখ্য়, আর্থিক সঙ্কটে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার প্রায় শূন্য হতে বসেছিল। সম্প্রতিই তারা আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার বা আইএমএফের কাছে ১১০ কোটি ডলারের আর্থিক সাহায্য চেয়েছে পাকিস্তান। তবে এই ঋণ দেওয়ার আগে একাধিক শর্ত রেখেছিল আইএমএপ, যা পূরণ করতে পাক সরকার পেট্রোল, ডিজেলের মূল্য়বৃদ্ধি থেকে শুরু করে সরকারের ব্যয়ে রাশ টেনেছে। তবে একাধিক শর্ত পূরণ করার পরও আইএমএফ অর্থ সাহায্য় নিয়ে লিখিত কোনও আশ্বাস দেয়নি।