Pakistan: পাকিস্তানের হাতে বাটি! শেষে কি না সরকারি বিমানই বেচে দিচ্ছে শেহবাজ সরকার

Pakistan International Airlines Sell: পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইএমএফের কাছ থেকে ৭ বিলিয়ন অর্থাৎ ৭০০ কোটি ডলারের আর্থিক প্য়াকেজ পেতে পাকিস্তানের উপরে যা যা শর্ত চাপানো হয়েছিল, তাতেই পিআইএ ধুঁকছে। আবার জিও টিভি-র রিপোর্টে দাবি, আইএমএফের প্যাকেজেই শর্ত ছিল এই বিমানের বিক্রি।   

Pakistan: পাকিস্তানের হাতে বাটি! শেষে কি না সরকারি বিমানই বেচে দিচ্ছে শেহবাজ সরকার
পাকিস্তানের সরকারি বিমানও বিক্রি করে দিচ্ছে সরকার।Image Credit source: PTI

|

Dec 04, 2025 | 7:25 AM

ইসলামাবাদ: মুখেই বড় বড় বুলি। আসলে ভাড়ে মা ভবানীর দশা। পাকিস্তানের (Pakistan) দৈন্য দশার পর্দাফাঁস। আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (IMF) থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়েছে পড়শি দেশ। এবার সেই ঋণ মেটাতে নিজেদের বিমান বিক্রি করছে পাকিস্তান। 

পাকিস্তানের সরকারি উড়ান সংস্থা, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বিমান বিক্রি করা হবে নিলামে। এদিকে আবার ফৌজি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড, যা পাক সেনা নিয়ন্ত্রিত, সেই সংস্থাকে আগে থেকেই নিলামে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, বুধবারই নিলামে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে দেখা করেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। আগামী ২৩ ডিসেম্বর এই নিলাম হবে। সমস্ত মিডিয়ায় তার লাইভ সম্প্রসারণ হবে।

গত মাসেই পাকিস্তানের বেসরকারিকরণ মন্ত্রী মহম্মগ আলি জানিয়েছিলেন, বেসরকারিকরণের মাধ্যমে সরকার ৮৬ বিলিয়ন অর্থাৎ ৮৬০ কোটি পাকিস্তানি রুপি আয় করার পরিকল্পনা করছে। পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বিমান বিক্রি করে যে অর্থ পাওয়া যাবে, তার ১৫ শতাংশ যাবে সরকারের পকেটে, বাকি টাকা সংস্থা পাবে। এটাই পাকিস্তানের বিগত দুই দশকে সবথেকে বড় বেসরকারিকরণের পদক্ষেপ হতে চলেছে। 

ফৌজি ফাউন্ডেশন, যারা নিলামে অংশ নিচ্ছে, তার মাথায় পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল আসিম মুনির না থাকলেও, পরোক্ষে তারই প্রভাব রয়েছে। এই সংগঠনের কর্তাদের নিয়োগ করেন মুনিরই। এই সংস্থা নিলামে অংশ নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে পাকিস্তানের সর্বেসর্বা হয়ে ওঠার পর এবার মুনির কি নিজের বিমান কেনার ব্যবস্থা করছেন? আরও বড় কোনও পরিকল্পনা রয়েছে কি তাঁর?

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পায় পাকিস্তান। ১ বিলিয়ন ডলার সঙ্গে সঙ্গেই দিয়েছিল আইএমএফ। বাকি অর্থ ৩ বছরে ধাপে ধাপে দেওয়া হবে। ১৯৫৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত আইএমএফের কাছ থেকে ২০ বার ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান।