ইসলামাবাদ: সাময়িকভাবে গদি রক্ষা পেলেও, নতুন সপ্তাহে অধিবেশন বসলেই অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হতে পারেন পাকিস্তান(Pakistan)-র প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। যদিও পাক প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যাই-ই হয়ে যাক না কেন, তিনি কিছুতেই পদ ছাড়বেন না। গুজব রটেছে, স্বামীর গদি বাঁচাতে কালাজাদুর আশ্রয় নিয়েছেন ইমরান খানের স্ত্রী। এবার গল্পে নতুন মোড়। অনাস্থা প্রস্তাব আনার আগেই নাকি দেখা মিলছে না পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা-মন্ত্রীদের। পাকিস্তান সংবাদমাধ্যমের দাবি, কমপক্ষে ৫০ জন মন্ত্রীর কোনও খোঁজ মিলছে না।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের দাবি, ৫০ জনেরও বেশি পাক মন্ত্রীর কোনও খোঁজ মিলছে না। বিগত কয়েকদিন ধরেই তাঁদের দেখা মিলছে না। এদের মধ্যে ২৫ জন রাষ্ট্রমন্ত্রী ও পরামর্শদাতা। ৪ জন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন, এছাড়াও ৪ জন পরামর্শদাতা ও ১৯ জন বিশেষ সহকারী রয়েছেন। জল্পনা শোনা যাচ্ছে, এই মন্ত্রীরাই ইমরানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের সপক্ষে ভোট দিতে পারেন। সেই কারণেই তাদের কোথাও বন্দি করে রাখা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে গত কয়েক মাস ধরেই উঠছে একের পর এক অভিযোগ। দেশের অর্থনীতি, বিদেশ নীতি কোন কিছুই তিনি সামলাতে পারছেন না। অন্যদিকে, পাক সেনাবাহিনীর সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক নেই ইমরান খানের। সূত্রের দাবি, কেবলমাত্র বিরোধীরাই নয়, শাসক দলের একাধিক নেতাও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর উপরে আর আস্থা রাখছেন না। তবে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি, তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী, শক্তি মন্ত্রী হামাদ আজ়হার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ় খাট্টক সহ একাধিক মন্ত্রী ইমরান খানের পাশেই রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
শুক্রবারই পাক সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করার কথা থাকলেও, কিন্তু পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা তথা সাংসদ খায়াল জ়ামানের অকাল প্রয়াণে অধিবেশনের শুরুতেই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় এবং ২৮ মার্চ বিকেল ৪টে অবধি অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়া হয়। সুতরাং ওই সময় অবধি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা যাবে না।