Pakistan: ভারতের অপারেশনে বেহাল অবস্থা! আমেরিকায় গিয়ে ‘কান্নাকাটি’ করছে পাকিস্তান!
Pakistan: সূত্রের খবর, পাকিস্তান সেখানে গিয়ে বলেছে, ৮০ টা যুদ্ধবিমান, ৪০০ মিসাইল নিয়ে এসেছিল ভারত, পাকিস্তানের তো ধুলোয় মিশে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। ভারতের হাতিয়ার পাকিস্তানের থেকে অনেক উন্নত, সেটাও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আমেরিকাকে।

নয়া দিল্লি: অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতকে দোষী সাজাতে পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা দেশে দেশে ঘুরছেন। তাতে লাভের লাভ কিছু হচ্ছে না। উল্টে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যে কতটা ঠুনকো সেটাই দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। এই যেমন ধরুন বিলাওয়াল ভুট্টোর নেতৃত্বে পাকিস্তানের ১৩ সদস্যের একটা টিম আমেরিকায় রয়েছে। সেখানে ওদেশের পরিবেশমন্ত্রী মুসাদ্দিক মালিক কার্যত কান্নাকাটি করা শুরু করে দেন।
আমেরিকা যাতে পাকিস্তানকে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেয়, তার জন্য রীতিমতো বায়না। চিনের তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় রাওয়ালপিন্ডি যে আর ভরসা রাখতে পারছে না, তা একপ্রকার স্পষ্ট। তাই, ট্রাম্পের কৃপাদৃষ্টির আশায় চলে আর্জি।
সূত্রের খবর, পাকিস্তান সেখানে গিয়ে বলেছে, ৮০ টা যুদ্ধবিমান, ৪০০ মিসাইল নিয়ে এসেছিল ভারত, পাকিস্তানের তো ধুলোয় মিশে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। ভারতের হাতিয়ার পাকিস্তানের থেকে অনেক উন্নত, সেটাও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আমেরিকাকে। সেজন্য পাকিস্তান চায় আমেরিকা আমাদের অস্ত্র ও প্রযুক্তি বিক্রি করুক। মুসাদ্দিক মালিকের এ বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। মাথা হেঁট হয়েছে পাকিস্তানের।
এখন প্রশ্ন হল আমেরিকা কি পাকিস্তানকে অস্ত্র বিক্রি করবে? আমেরিকার দুটো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের দিকে পাকিস্তানের নজর রয়েছে। একটা হল টার্মিনাল হাই-অল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স বা থাড। সাদ্দাম হুসেনের সময়ে উপসাগরীয় যুদ্ধে সাফল্যের নজির রেখেছিল লকহিড মার্টিনের তৈরি এই থাড। আর একটা হল তুলনায় আরও উন্নত প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। যদিও, হালফিল ইউক্রেনের যুদ্ধে দেখা গিয়েছে যে রুশ মিসাইলগুলোকে আটকাতে পারেনি প্যাট্রিয়ট।
পশ্চিমী দুনিয়ার কাছ থেকে পাওয়া ইউক্রেনের মিসাইলগুলোকে আটকে দিয়েছে এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, যা কি না ভারতের হাতে রয়েছে। ফলে, পাকিস্তান আমেরিকার কাছ থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাক বা না পাক, তা নিয়ে ভারতের চিন্তা নেই। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা এমনই বলছেন।
উল্লেখ্য, অতীতে ১৯৬৫ ও ১৯৭১-এর যুদ্ধে পাকিস্তানকে অস্ত্র জুগিয়েছিল আমেরিকাই। যদিও, দুই যুদ্ধেরই ফল কী হয়েছিল তা সবারই জানা। আবার উল্টো দিকটাও আছে। ট্রাম্প যদি পাকিস্তানকে অস্ত্র বিক্রি করে, তাহলে ভারত তা মোটেই ভাল ভাবে নেবে না। ভারত মহাসাগরে চিনকে লাগাম দিতে ভারত ছাড়া আমেরিকার আর কোনও পার্টনার নেই। ফলে, ট্রাম্প কখনই দিল্লিকে চটাতে চাইবেন না বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়া, মার্কিন অস্ত্রের প্রচুর দাম। দেউলিয়া হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে থাকা পাকিস্তানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কোনও ডিল করতে চাইবেন কি না, তা নিয়েও সন্দেহ আছে। সবমিলিয়ে পাকিস্তানের কপালে শিকে ছিঁড়বে কি না তা অনিশ্চিত। তবে, ভারতকে দোষী সাজাতে গিয়ে ওরা যে নিজেরাই নিজেদের চরম বেইজ্জতি ডেকে আনছে, তা পরিষ্কার।





