India-Pakistan: পাকিস্তান ভুলে গিয়েছিল ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’ দশা, ভারত দরজা বন্ধ করতেই হাহাকার, ঠুকছে মাথা!

India-Pakistan: ড্রাগ রেগুলেটরি অথারিটি অব পাকিস্তানের তরফেও জানানো হয়েছে, ইমার্জেন্সি প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালেও এমন ভয়ঙ্কর সঙ্কটের মুখে পড়তে হয়েছিল পাকিস্তানকে।

India-Pakistan: পাকিস্তান ভুলে গিয়েছিল ভাঁড়ে মা ভবানী দশা, ভারত দরজা বন্ধ করতেই হাহাকার, ঠুকছে মাথা!
ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত।Image Credit source: PTI

|

Apr 27, 2025 | 8:02 AM

ইসলামাবাদ: ভারতের সঙ্গে পাঙ্গা নেওয়ার ফল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে পাকিস্তান। একদিকে বন্ধ হয়েছে সিন্ধুর জল, অন্যদিকে বাণিজ্যের দরজাও বন্ধ। আর বাণিজ্য বন্ধ হতেই মাথায় হাত পাকিস্তানের। বাকি সবকিছুর চিন্তা পরে, জরুরি ওষুধ কীভাবে মিলবে, তা নিয়েই চিন্তায় ঘুম উড়েছে পাকিস্তানের। জরুরিকালীন প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা ওষুধ ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য জোগাড় করতে।

পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার জবাবে ভারত সিন্ধু জল চু্ক্তি স্থগিত করতেই, পাল্টা চাপ তৈরি করতে পাকিস্তান বাণিজ্য বন্ধ করার ঘোষণা করেছে। কিন্তু তাতে চাপে পড়েছে পাকিস্তান নিজেই। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করতেই ওষুধ সঙ্কটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানে কার্যত হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য জোগাড়ে।

ড্রাগ রেগুলেটরি অথারিটি অব পাকিস্তানের তরফেও জানানো হয়েছে, ইমার্জেন্সি প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালেও এমন ভয়ঙ্কর সঙ্কটের মুখে পড়তে হয়েছিল পাকিস্তানকে। সেই ঘটনা মাথায় রেখেই আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ভারতের বিকল্প খোঁজা হচ্ছে।

বর্তমানে পাকিস্তান ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের কাঁচামালের ৩০-৪০ শতাংশ ভারত থেকে আমদানি করে। এখন বাণিজ্য বন্ধ হওয়ায় পাকিস্তান সেই ঘাটতি পূরণ করবে কী করে, তা নিয়ে চিন্তায় বেসামাল। মূলত অ্যান্টি-র‌‌্যাবিস ভ্যাকসিন, অ্যান্টি-স্নেক ভেনম, ক্যানসার থেরাপি, মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি সহ একাধিক জটিল রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের খোঁজ করছে পাকিস্তান।

জানা গিয়েছে, চিন, রাশিয়া ও একাধিক ইউরোপের দেশ থেকে ওষুধের কাঁচামাল আমদানির কথা ভাবছে পাকিস্তান। কিন্তু এতে খরচ পড়বে বিপুল। এ দিকে তো দেশের অবস্থা ভাঁড়ে মা ভবানী!  চিন্তা রয়েছে কালোবাজারি নিয়েও। আফগানিস্তান, ইরান, দুবাই হয়ে বহু বিনা রেজিস্টার্ড ও অ্যাপ্রুভাল-হীন ওষুধ পাকিস্তানে ঢুকে পড়ে। ওষুধ সঙ্কটের মাঝে এই জাল ওষুধ ছড়িয়ে পড়লে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটতে পারে।