ম্যানিলা: বছর শেষেই নেমে এল বিপত্তি। চলতি বছরের সবথেকে শক্তিশালী টাইফুন (Typhoon) ঝড় আছড়ে পড়ল ফিলিপিন্সে (Philippines)। রবিবার সকালের তথ্য় অনুযায়ী, এখনও অবধি ৭৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বিপুল ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে দেশজুড়ে, প্রায় ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষকে ঘরছাড়া হতে হয়েছে। ঝড়ের দাপট কিছুটা কমতেই শুরু করা হয়েছে উদ্ধারকার্য। শুকনো খাবার ও জলের বোতলও সরবরাহ করা হচ্ছে দুর্গতদের কাছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ফিলিপিন্স দ্বীপের দক্ষিণ ও মধ্য অংশে আছড়ে পড়েছে টাইফুন রাই। ঝড়ের দাপটে ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। সমুদ্রের ধারে বড় বড় রিসর্টগুলিও ভেঙে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। অধিকাংশ পর্যটকদেরই উদ্ধার করা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Please help RT to raise awareness ?
This is the aftermath of Bagyo Odette in the province of Cebu, Philippines. Pictures are not mine but a whole lot of private properties and establishments were destroyed from the typhoon. Roads were blocked by uprooted trees and lamp posts. pic.twitter.com/CgV09YVt3y
— kimu (slow) ?? (@lovabeom) December 18, 2021
ঝড়ের দাপটে গোটা দ্বীপের বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থাও ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়িঘরে ছাদ উড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুতের খুঁটিও উপড়ে গিয়েছে। ভারী বৃষ্টির জেরে বন্যার জলে প্লাবিত হয়েছে একাধিক গ্রাম।
জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র বোহলের গভর্নর আর্থার ইয়াপ ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানান, কেবল তাদের শহরেই ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ঝড়-বৃষ্টির কারণে, আহত হয়েছেন ১৩ জন। বৃহস্পতিবার টাইফুনটি আছড়ে পড়লেও, তার প্রভাব এখনও রয়ে গিয়েছে, এখনও অবধি ১০জনের খোঁজ মিলছে না বলে জানা গিয়েছে।
100,000+ people in the Philippines fled their homes as a super typhoon made landfall, stranding thousands in chest-deep flood waters.
Typhoon Rai is a cat. 5 storm. Philippines gets 20 big storms per year, but experts say they are getting more extreme due to the climate crisis. pic.twitter.com/egENvydbUC
— AJ+ (@ajplus) December 16, 2021
গভর্নর আর্থার ইয়াপ জানান, বৃহস্পতিবার যখন টাইফুনটি আছড়ে পড়ে, তখন তার সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ১৯৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। স্বাভাবিকভাবেই ঝড়ের দাপটের সামনে কাঁচা বাড়িগুলি টিকতে পারেনি। যোগাযোগ ব্য়বস্থাও বিপর্য়স্ত হয়ে পড়েছে। ৪৮ জন মেয়রের মধ্যে ২১ জন এখনও অবধি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, একাধিক গ্রাম বন্যায় ডুবে গিয়েছে, বাড়ির ছাদ থেকে বাসিন্দাদের উদ্ধার করতে হচ্ছে। পরিস্থিতি এইরকমই থাকলে মৃতের সংখ্যা আরওবাড়তে পারে বলেই জানা গিয়েছে। উদ্ধারকার্যে পুলিশ, সেনাবাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী ও দমকল বিভাগের কর্মীদের পাঠানো হয়েছে। রাস্তা্য় গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যোগাযেগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায়, সেগুলিকে সরানোর জন্যও ভারী গাছ কাটার যন্ত্রপাতি পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থাকে সাহায্য ও অনুদানের জন্য বলা হয়েছে।