Massive Blast in Pakistan: ব্যাঙ্কের লাইনে চলছিল গল্পগুজব, আচমকা বিস্ফোরণে সরে গেল পায়ের তলার মাটিও! মৃত কমপক্ষে ১৫

15 dead in Karachi Blast: বিস্ফোরণের অভিঘাতে একদিকে যেমন এইচবিএল ব্যাঙ্কের একটি বড় অংশ ভেঙে গিয়েছে, তেমনই আবার নিকাশী নালার উপর ব্যাঙ্কটি তৈরি হওয়ায়, মাটিও ধসে গিয়েছে।

Massive Blast in Pakistan: ব্যাঙ্কের লাইনে চলছিল গল্পগুজব, আচমকা বিস্ফোরণে সরে গেল পায়ের তলার মাটিও!  মৃত কমপক্ষে ১৫
এইচবিএল ব্যাঙ্কে ওই বিস্ফোরণটি হয়। প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 19, 2021 | 7:30 AM

সিন্ধ: সপ্তাহ শেষে ব্যাঙ্কের লাইনে (Bank Queue) দাড়িয়ে ছিলেন সকলে, হঠাৎই একটা বিকট বিস্ফোরণের (Blast) শব্দ। কেঁপে উঠল পায়ের তলার মাটি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাথার উপর ছাদ ও দেওয়াল ভেঙে পড়তে শুরু করল। অনেকেই আবার মাটি ভেদ করে ঢুকে গেলেন নিকাশি নালায় (Sewage Line)। ভয়াবহ এই বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও এক ডজন মানুষ।

শনিবার পাকিস্তান(Pakistan)র করাচি(Karachi)-তে এই বিস্ফোরণটি হয়। শেষ খবর পাওয়া অবধি ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে এখনও অবধি ১৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এখনও বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ আটকে থাকার খবর পাওয়া গিয়েছে, পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, করাচির শেরশাহ এলাকায় দুপুরের দিকে ওই বিস্ফোরণটি হয়। মূলত এইচবিএল ব্যাঙ্কের (HBL Bank) কর্মী ও গ্রাহকরাই বিস্ফোরণের জেরে আহত হয়েছেন। পাশের কয়েকটি বাড়িও ভেঙে পড়েছে। বিস্ফোরণের খবর পেয়েই ঘটনাস্থানে পৌঁছয় পুলিশ। স্থানীয়দের সাহায্যে আহতদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

পুলিশ এখনও বিস্ফোরণের ধরণ ও কারণ জানার চেষ্টা করলেও, স্থানীয় সংবাদমাধ্য়মগুলির দাবি, কোনও প্রকার গ্যাস লিক হওয়া থেকে বা একাধিক বিস্ফোরকের কারণে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে একদিকে যেমন এইচবিএল ব্যাঙ্কের একটি বড় অংশ ভেঙে গিয়েছে, তেমনই আবার নিকাশী নালার উপর ব্যাঙ্কটি তৈরি হওয়ায়, মাটিও ধসে গিয়েছে।

ওই নিকাশী নালায় বিষাক্ত গ্য়াস জমতে জমতে কোনও প্রকার রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে ওই বিস্ফোরণ ঘটতে পারে, এমনটাই ধারণা বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের। এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনাস্থানে সন্ত্রাস দমন বাহিনীকেও পাঠানো হয়েছে। এই বিস্ফোরণের পিছনে নাশকতামূলক কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে, সুই সাউর্থান গ্য়াস কম্পানির তরফে বিবৃতি জরি করে জানানো হয়েছে, ওই এলাকায় কোনও এসএসজিসি গ্যাস পাইপলাইন বসানো নেই। সুতরাং তাদের রান্নার গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সংস্থার বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে যে বিস্ফোরণের পর ওই এলাকায় কোনও আগুন দেখা যায়নি বা প্রাকৃতিক গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যায়নি।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যাঙ্কটির নীচ থেকেই সরু একটি জলধারা গিয়েছে। তারমধ্য়েই নিকাশি ও গ্যাস পাইপলাইনও রয়েছে। ফলে ঠিক কী কারণে বিস্ফোরণটি ঘটল বা কোথা থেকেই বা বিস্ফোরণ হল, তা বোঝা যাচ্ছে না। পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল বলেন, “আপাতত উদ্ধারকার্যই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এখনও বহু মানুষ ওই ধ্ংসস্তূপের ভিতরে আটকে রয়েছেন। ভাঙা পাথর, সিমেন্টের চাঁই সরিয়ে তাদের উদ্ধর করাই বড় চ্যালেঞ্জ। ”

বিস্ফোরণস্থলের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের একটি বড় অংশই ভেঙে পড়েছে। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলিও ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, শনিবার হওয়ায় ব্যাঙ্কে কর্মচারীর সংখ্যা কম ছিল। যেই সময় বিস্ফোরণ হয়, তখন ৯ জন ব্যাঙ্ক কর্মী ও কমপক্ষে ৫০ জন গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বিস্ফোরণের রেশ কাটিয়ে ওঠার পর অনেকজনকে বিল্ডিংয়ের নীচে ওই নিকাশি নালায় আটকে পড়তে দেখা গিয়েছে বলে দাবি।

সূত্রের খবর, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক যোগাযোগকারীর বিশেষ সহকারী শাহবাজ গিল জানান, তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের নেতা আলমগির খানের বাবা দিলাওয়ার খান ওই বিস্ফোরণে মারা গিয়েছেন।