
তিয়ানজিন: ৭ বছর পর চিন সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন সামিটের বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছেন তিনি। আর সেখানেই চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)-র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে তাঁর। দুই দেশের বন্ধুত্বে গোটা বিশ্বের মঙ্গল হবে বলে উল্লেখ করেন।
ভারতের উপরে যখন আমেরিকা ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে, সেই সময় চিন ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। সেই আবহেই এবার ভারত-চিনের রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক। এদিন, (৩১ অগস্ট) চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর। প্রায় ৫০ মিনিট আলোচনা হয় তাদের। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও শি জিনপিং গত বছর কাজানে হওয়া বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে আনেন। বলেন যে গত বছরের কাজান বৈঠক ফলপ্রদ ছিল, যা ভারত-চিন সম্পর্ককে ইতিবাচক দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। সীমান্তে সেনা প্রত্য়াহার, শান্তি স্থাপন ও সম্পর্ক স্থিতাবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীও বলেন যে পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্মানের উপরে ভিত্তি করে ভারত-চিনের সম্পর্ক এগিয়ে যাচ্ছে। সীমান্ত নিয়ে ভারত-চিন বিশেষ চুক্তিতে রাজি হয়েছে। কৈলাস মানসরোবর যাত্রাও শুরু হয়েছে। দুই দেশের মধ্য়ে সরাসরি ফ্লাইট চালু হয়েছে। এই বিষয়গুলিও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক ও সংহতির উপর ভারত এবং চিনের ২৮০ কোটি মানুষের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। এই সম্পর্কে সারা পৃথিবীর কল্যাণ হবে। পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্মান এবং সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে আমরা এই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।”
অন্যদিকে, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার কথা বলেন। তিনি বলেন যে ভারত ও চিন বিশ্বের সবথেকে জনবহুল দুই দেশ এবং গ্লোবাল সাউথের অংশ। ‘ড্রাগন ও হাতি’কে একসঙ্গে আসতে অনুরোধ করেন তিনি।