ইসলামাবাদ: কয়েকদিন ধরেই পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত (Pakistan Political Turmoil)। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) ক্ষমতাচ্যুত করতে উঠে পড়ে লেগেছিল বিরোধীরা। গত মাসের ২৮ তারিখ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ হয়েছিল। গতকাল অনাস্থা ভোট হওয়ার কথা থাকলেও পাক সংসদে সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে গিয়েছিল। জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইমরান খান জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে অধিবেশন ভেঙে দেওয়ার আবেদন জানিয়ছিলেন তিনি। ইমরানের তরফে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের দায়িত্ব যেন দেশবাসীর কাঁধে দেওয়া হয়, সেই আর্জিও জানানো হয়েছিল। ইমরান খানের দাবিকে মান্যতা দিয়েই ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করানোর ঘোষণা করেছিল সরকার। ইমরানের এই কৌশলে বিরোধীরা খানিকটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল। এবার পাকিস্তানের রাজনীতিতে নয়া মোড়। পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও বিরোধী দলনেতা শাহাবাজ শরিফকে চিঠি দেওয়ার পরই নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, দু’জনের কাছ থেকে পরবর্তী কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করার বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি। কারণ গতকাল সংসদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর পাকিস্তানে নতুন কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। যদি দুই রাজনীতিবিদ তিন দিনের মধ্যে পরবর্তী কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রীর নাম নিয়ে ঐক্যমতে না পৌঁছাতে না পারেন তবে, দু’জনেই দুটি করে নাম সংসদীয় কমিটির কাছে প্রস্তাব হিসেবে পাঠাবেন। তাদের মধ্যে থেকে একজনকেই কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করবে ৮ সদস্যের সংসদীয় কমিটি। ওই কমিটিতে শাসক ও বিরোধী দলগুলির সমান সদস্য সংখ্যা রয়েছে।
যতদিন পাকিস্তানের পরবর্তী কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী নাম নির্ধারত না হচ্ছে ততদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খান কাজ চালাবেন। রবিবার রাতে রাষ্ট্রপতির দফতর থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে এমনটাই জানানো হয়েছে। বিবতিতে বলা হয়েছে, “নতুন কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না হওয়া অবধি ইমরান খান নিয়াজি পাকিস্তানের সংবিধানের ২২৪ এ (৪) ধারা অনুয়ায়ী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন।”