পুতিনের গোপন ফন্দি, কোন কোন দেশ উড়িয়ে দেওয়ার প্ল্যান ছিল?
Vladimir Putin: মার্কিন সংবাদপত্র দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমসের দাবি, পুতিনের সিকিউরিটি অফিস থেকে ফাঁস হওয়া কিছু নথিপত্র হাতে পেয়েছে তাঁরা। সেখানেই জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশের উপর হামলার রুশ হামলার উল্লেখ রয়েছে।
কাউন্টি অফ সিক্স, রাশিয়ান টার্গেট ফিক্সড – ভ্রাদিমির পুতিনের টপ সিক্রেট ওয়ার প্ল্যান। ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া সহ একাধিক দেশে হামলা চালাবে রাশিয়া। ওইসব দেশে ১৬০টির বেশি টার্গেট ফিক্সড ও রেডি করে ফেলেছে রুশ সেনার স্পেশাল কমান্ডো ডিভিশন। টার্গেট ফিক্সড ও রেডির অর্থ, কোনও নির্দিষ্ট টার্গেটে হামলার যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ। শুধু নির্দেশ আসার অপেক্ষা। পরমাণু বিদ্যুত্ কেন্দ্র, সেনাঘাঁটি, অস্ত্রাগার, কমিউনিকেশন সিস্টেম সহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এলাকায় হামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
মার্কিন সংবাদপত্র দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমসের দাবি, পুতিনের সিকিউরিটি অফিস থেকে ফাঁস হওয়া কিছু নথিপত্র হাতে পেয়েছে তাঁরা। সেখানেই জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশের উপর হামলার রুশ হামলার উল্লেখ রয়েছে। ওই মার্কিন সংবাদপত্রের দাবি, ফাঁস হওয়া নথিপত্রে রাশিয়ার নিজস্ব নিউক্লিয়ার ইনস্টলেশনের তথ্য রয়েছে। এবং তার সঙ্গে মার্কিন গোয়েন্দাদের কাছে থাকা তথ্যের মিল আছে। অর্থাত্ পুতিন ভয় দেখাতে এই নথি ফাঁস করেননি, বলাই যায়। তবে নথিগুলো পুরনো। ২০১৪ সালের। তাতে অবশ্য কিছু যায় আসে না। কেননা জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার নিউক্লিয়ার ইনস্টলেশনে নিখুঁত তথ্য নিয়েই ওই প্ল্যান রেডি করা হয়েছিল।
আর তাতে বলাই আছে, আজ না হোক কাল বা বহু বছর পর, হামলার জন্য তৈরি থাকতেই হবে। কে ওয়ান বলে একটা নথিতে বলা হচ্ছে, আমেরিকার বাইরে যে সব দেশে মার্কিন সেনাঘাঁটি বা অস্ত্রাগার আছে, সেখানে হামলা করলে ওদের নাভিশ্বাস উঠে যাবে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশে রুশ হামলায় হোয়াইট হাউস কেঁপে যাবে। আমেরিকার সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ের আগে এভাবেই আমাদের এগোতে হবে। বিষয়টা কতটা বিপজ্জনক, বুঝতেই পারছেন। পুতিনের দফতর থেকে তথ্য ফাঁস না হলে এসব জানতেই পারতেন না।
যেমন জানা যেত না যে ইউক্রেনে পরমাণু হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলেন পুতিন। বড় আকারের পরমাণু বোমা নয়। ছোট এলাকায়, স্বল্পমেয়াদি পরমাণু হামলা। নিউক্লিয়ার সায়েন্সের ভাষায় যাকে বলা হয় নিউক্লিয়ার বল। মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের দাবি, শেষ মুহূর্তে পুতিনকে নিরস্ত করেছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। না হলে যে কী হত, আরও জানা নেই।