
ঢাকা: অরাজকতা গ্রাস করছে বাংলাদেশকে। ন্যূনতম সম্মান পেলেন না কবিগুরু। বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈত্রিক ভিটেয় ভাঙচুর। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত রবীন্দ্র যাদুঘর। অশান্তি, ভাঙচুরের পর বাংলাদেশ প্রশাসন আপাতত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই বাড়িতে সাধৈরণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ করে দিয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছেই, বিশ্ববন্দিত নোবেলজয়ী কবির বাড়িতে ন্যূনতম সুরক্ষার ব্যবস্থা কেন করা হল না? উন্মত্ত জনতা যখন ঢুকে ভাঙচুর চালাচ্ছিল, তখন পুলিশ-প্রশাসন কী করছিল?
বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের কাছারিবাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈত্রিক বাড়ি। ১৯৪০ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর শাহজাদপুরের জমিদারি কিনে নেন। সেই সময়ই কাছারিবাড়ি ঠাকুর পরিবারের হাতে আসে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনের বেশ কিছুটা সময় এই বাড়িতে কাটিয়েছেন। ১৯৬৯ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বাড়িটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করে। পরে তা মিউজিয়ামে রূপান্তরিত করা হয়।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই পৈত্রিক ভিটেয় ভাঙচুর করে কিছু উন্মত্ত জনতা। পার্কিংয়ের সমস্যা নিয়ে এক পর্যটক পরিবারের সঙ্গে মিউজিয়ামের কর্মীর ঝামেলা হয়। সেখান থেকেই অশান্তি ছড়ায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, যাদুঘরের প্রবেশপথেই বাইকের পার্কিং ফি নিয়ে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, ওই পর্যটককে অফিস রুমে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয় এবং শারীরিক নিগ্রহও করা হয়।
🔸 Rabindranath Tagore’s ancestral house was vandalised in Sirajganj district of Bangladesh.
That’s how the Greatest poet of Bengal is respected by Bengali muslims. pic.twitter.com/uOa3UtVEgw
— Joy Das 🇧🇩 (@joydas1844417) June 11, 2025
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা ও বিক্ষুব্ধ জনতা শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে একদল উন্মত্ত জনতা কাছারিবাড়িতে ঢুকে পড়ে এবং কাস্টোডিয়ানের অফিস, অডিটোরিয়ামের জানালা, দরজা ভাঙচুর করে। বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রীর ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মিউজিয়ামের ডিরেক্টরকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার পর আর্কিওলজি বিভাগের তফে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে হামলার তদন্ত করার জন্য। ৫ দিনের মধ্যে এর রিপোর্ট জমা করতে হবে। আপাতত দর্শকদের জন্য বন্ধ থাকবে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত এই কাছারিবাড়ি।