
কাবুল: আর শান্তি আলোচনা নয়, এবার সরাসরি পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে নামবে আফগানিস্তান? এমনই ইঙ্গিত দিল তালিবান। ইস্তানবুলে আফগানিস্তান-পাকিস্তানের শান্তি আলোচনায় কোনও সুরাহা না মিলতেই রণমূর্তি তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের। তালিবান প্রশাসনের আধিকারিকরা বলে দিল যে কীভাবে ইসলামাবাদ বারবার নিজেদের কথা থেকে সরে আসছে, কীভাবে কাবুলের ঘাড়েই দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। তুরস্ক ও কাতারের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টার পরও পাকিস্তান নিজেই উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
পাকিস্তানের এই ঘনঘন রঙ বদলেই আফগানিস্তান দিল কড়া বার্তা। তালিবান সরকারের প্রতিনিধি জ়াবিহুল্লাহ মুজাহিদ বিবৃতি প্রকাশ করে বলেন, “তুরস্ক ও কাতার, দুই ভ্রাতৃসমান দেশকে ধন্যবাদ আলোচনায় মধ্যস্থতা করার জন্য। আফগান প্রতিনিধিরা বিশ্বাস নিয়েই গত ৬-৭ নভেম্বরের আলোচনায় অংশ নিয়েছিল, আশা করেছিল পাকিস্তান অবশেষে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে এবং গঠনমূলকভাবে দেখবে। কিন্তু পাকিস্তান ফের একবার তাদের দায়িত্বহীন ও অসহযোগ মনোভাব দেখিয়েছে। নিরাপত্তার সমস্ত দায় আফগান সরকারের ঘাড়ে ঠেলতে চেয়েছে, কিন্তু আফগানিস্তান বা নিজের দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও দায়িত্ব নিতে আগ্রহ দেখায়নি।”
পাকিস্তানের এই আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছে আফগানিস্তান। একইসঙ্গে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, তাদের মাটিকে অন্য় কোনও দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ চালাতে ব্যবহার করতে দেবে না। তাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে অন্য কোনও দেশকে কাজ করতেও দেবে না। যদি কোনও আগ্রাসন দেখানো হয়, তাহলে তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।
পাকিস্তানের মুসলিমদের সঙ্গে সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেই তালিবান স্পষ্ট করে জানিয়েছে, তারা একটা সীমা পর্যন্তই সহযোগিতা করবে। এদিকে, আফগানিস্তানের আদিবাসী ও সীমান্ত মন্ত্রী নুরুল্লাহ নুরি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে আফগানদের ধৈর্য্য যেন পরীক্ষা না করে পাকিস্তান। নিজেদের (পাকিস্তান) দেশের প্রযুক্তি নিয়ে যেন অতি-আত্মবিশ্বাসী না হয়। যদি দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ লাগে, তাহলে আফগানিস্তানের যুবক থেকে বৃদ্ধরা সকলেই লড়াই করবেন।