Bangladesh: রোহিঙ্গা নেতাকে গুলি করে খুন, বাংলাদেশের উদ্বাস্তু ক্যাম্পে চাঞ্চল্য

Bangladesh, এই ঘটনার পর রোহিঙ্গা নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বেশিরভাগ নেতারাই গা ঢাকা দিয়েছন

Bangladesh: রোহিঙ্গা নেতাকে গুলি করে খুন, বাংলাদেশের উদ্বাস্তু ক্যাম্পে চাঞ্চল্য
মহিবুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনার যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ছবি-ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 30, 2021 | 7:00 PM

ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) উদ্বাস্তু ত্রাণ শিবিরে (Refugee Camp) গুলি করে খুন বিশিষ্ট মুসলিম রোহিঙ্গা (Rohingya) নেতাকে। ২০১৭ সালের অগস্ট মাস থেকে মায়ানমারের (Mayanmar) প্রায় ৭ লক্ষ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। রোহিঙ্গাদের বেশ কয়েকটি গোষ্ঠীকে নেতৃত্ব দিতেন মহিবুল্লাহ (Mohibullah) নামের বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তি।

মহিবুল্লাহর প্রতিষ্ঠিত আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (ARPSH) মুখপাত্র মোহাম্মদ নওখিম (Mohammad Nowkhim) জানান, সন্ধ্যার নামাজে অংশ নেওয়ার পর তিনি তাঁর অফিসের বাইরে অন্য রোহিঙ্গা শরণার্থী নেতাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখনই অজ্ঞাত পরিচয় এক বন্দুকধারী তাঁকে কাছ থেকে তিনবার গুলি করে। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে (AFP) নওখিম বলেন, “পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে মহিবুল্লাহকে গুলি করা হয়েছে।” এই ঘটনার পর রোহিঙ্গা নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বেশিরভাগ নেতারাই গা ঢাকা দিয়েছন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর মহিবুল্লাহকে মেডিসিন সানস্ ফ্রন্টিয়ারের পরিচালিত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

কক্সবাজারের (Cox’s Bazar) ডেপুটি পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম (Rafiqul Islam) সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে (Reuters) মহিবুল্লাহর মৃত্যুর কথা জানালেও পুলিশি তদন্তের বিষয়ে কোনও তথ্য দেননি। এই হত্যার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই কমিশনার।

মহিবুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনার যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল (Amnesty International)। তার সঙ্গে শরণার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nations) শরণার্থী সংস্থাগুলিকে আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি। ওই সংস্থার দক্ষিণ এশিয়ার প্রচারক সাদ হাম্মাদি জানিয়েছেন, মহিবুল্লাহ হত্যার এই নির্মম ঘটনা সমগ্র সম্প্রদায়ের ভীত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ এই ঘটনা তদন্ত করে অপরাধীদের দ্রুত আটক করে কঠোর শাস্তি দেওয়া।

রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের (Human Rights Commission) কাছে রোহিঙ্গাদের যাবতীয় কথা তুলে ধরা ক্ষেত্রে মহিবুল্লাহর ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি রোহিঙ্গাদের নিয়ে আলোচনা করার তিনি হোয়াইট হাউস (White House) থেকেও আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। মায়ানমারের সেনাবাহিনী এবং বৌদ্ধ মিলিশিয়াদের হামলার তদন্তে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে, সেদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের আগমনের কয়েক মাস পরে মহিবুল্লাহ বাংলাদেশী ক্যাম্পে এআরপিএসএইচ গঠন করেন । ২০১৯ সালের অগস্ট মাসে রোহিঙ্গাদের মূল ক্যাম্প হিসেবে পরিচিত কুটাপালঙ্গ ক্যাম্পে (Kutapalong camp) প্রায় ২ লক্ষ শরানার্থীদের নিয়ে তিনি একটি সভা করেন। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী তাঁর যাবতীয় কার্যকলাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।

আরও পড়ুন West Bengal Flood: ঘোর বিপদ বঙ্গে! পুজোর আগেই বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা হাওড়া-হুগলি-সহ ৪ জেলা

আরও পড়ুন Bhabanipur By-Election: ‘ভুয়ো ভোটে জিতবেন! মুখ্যমন্ত্রীর কি সাজে?’