Russia’s De-escalation in Ukraine: ‘সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে, তবে…’, রুশ সেনা কিয়েভ ছাড়লেও কেন স্বস্তি পাচ্ছে না ইউক্রেন?
Russia-Ukraine Conflict: ইস্তানবুলের বৈঠকে ইউক্রেনের তরফে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে আন্তর্জাতিক গ্যারান্টির দাবি জানিয়েছিল। এরপরই রাশিয়া ইউক্রেনের রাজধানী থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়েছে।
কিয়েভ: একমাস কেটে গিয়েছে যুদ্ধের (Russia-Ukraine War)। এবার কি ইতি পড়তে চলেছে রাশিয়া(Russia)-র সামরিক অভিযানের? কিয়েভ সহ উত্তর ইউক্রেন (Ukraine) থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার (De-Escalation) সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। তবে এখনই সম্পূর্ণ স্বস্তি পাচ্ছে না ইউক্রেন, কারণ রাশিয়ার তরফে সাফ জানানো হয়েছে তারা ধীরে ধীরে সেনা প্রত্যাহার করলেও, যুদ্ধবিরতি (Ceasefire) ঘোষণা করেনি। তাই ইউক্রেনের উপরে হামলা যে পুরোপুরি থেমে থাবে, এই ধারণা ভুল।
মঙ্গলবারই রাশিয়ার তরফে জানানো হয়, দুই দেশের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও চেরেনিহিভ শহর থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে ধীরে ধীরে সামরিক গতিবিধি কমানো হবে। রাশিয়ার এই ঘোষণার পরই জল্পনা শুরু হয় যে, এবার ইতি পড়তে চলেছে একমাসব্যাপী যুদ্ধের। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে মস্কোর প্রতিনিধি যুদ্ধ নিয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, “কিয়েভ ও উত্তর ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের অর্থ এই নয় যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। কিয়েভের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তির সিদ্ধান্তে পৌঁছতে এখনও অনেক দেরি।”
উল্লেখ্য, ইস্তানবুলের বৈঠকে ইউক্রেনের তরফে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে আন্তর্জাতিক গ্যারান্টির দাবি জানিয়েছিল। এরপরই রাশিয়া ইউক্রেনের রাজধানী থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিনিধি ভ্লাদিমির মেডিনিস্কি বলেন, “এটা যুদ্ধবিরতি নয়, বরং সংঘর্ষ থামিয়ে সমাধানসূত্র খোঁজার আকাঙ্খা বলতে পারেন”। মেডিনিস্কি জানান, শুধুমাত্র সেনা প্রত্যাহারই নয়, দুই দেশের প্রেসিডেন্টদের মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠকেরও আয়োজন করা হয়েছে। একইসঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি তৈরি করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। তবে দুই দেশই যাতে এই চুক্তিতে সম্মতি দেয়, তার জন্য যে যে পদক্ষেপ গ্রহণ বাকি, তার পথ এখনও দীর্ঘ বাকি বলেই জানান তিনি।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রতিনিধিও জানান, মঙ্গলবার তুরস্কে দুই দেশের মুখোমুখি বৈঠকে বিরোধ মেটানো নিয়ে কথাবার্তা অনেকটাই এগোনো সম্ভব হয়েছে। দুই দেশের প্রেসিডেন্ট যাতে মুখোমুখি আলোচনায় বসে সমাধানসূত্র খুঁজে নেন, সেই প্রস্তাবেও রাজি হয়েছে রাশিয়া।