Russia-Ukraine Talk: খালি হাতেই ফিরতে হল চতুর্থ বৈঠক থেকেও, ইউক্রেনের কী কী দাবি মানতে নারাজ রাশিয়া
Russia-Ukraine Talk: রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর দাবি, ইউক্রেনের প্রতিনিধি কেবল বৈঠকে যোগ দিতে হবে, সেই কারণেই এসেছিলেন। যুদ্ধবিরতির দাবি আলোচ্য বিষয় ছিল না।
কিয়েভ: ফের ব্য়র্থ বৈঠক। ১৫ দিন বাদেও রফাসূত্র মিলল না রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। বৃহস্পতিবারই তুরস্কে ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু সেই বৈঠকেও কোনও রফাসূত্র মেলেনি। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের উপরে রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরু করার পর এই প্রথম দুই বিদেশমন্ত্রী মুখোমুখি বৈঠকে বসেন। অন্যদিকে, ইউক্রেনের সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যুদ্ধের জেরে কিয়েভের অর্ধেকের বেশি মানুষ পালিয়ে গিয়েছেন।
বৈঠক শেষে ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা জানান, ইউক্রেনের তরফে যুদ্ধবিরতি ও মারিউপোল থেকে মানবিক করিডর তৈরির আর্জি জানানো হয়েছিল, কিন্তু রাশিয়ার তরফে সেই আবেদন স্বীকার করা হয়নি। অন্যদিকে, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী লাভরভ জানান, বেলারুশে কূটনৈতিক স্তরের আলোচনার বিকল্প হতে পারে না। তবে দুইপক্ষেই ফের একবার বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছেন যুদ্ধ থামানোর রফাসূত্র খোঁজার জন্য।
ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমি রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী লাভরভের কাছে খুব সহজ একটা প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আমি ইউক্রেনের মন্ত্রী, কর্তৃপক্ষ, প্রেসিডেন্টকে এখুনি ফোন করতে পারি এবং মানবিক করিডর তৈরির জন্য ১০০ শতাংশ নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিতে পারি। আমি ওনার কাছে জানতে চেয়েছিলাম যে উনিও একই কাজ করতে পারবেন কিনা। উনি কোনও উত্তর দেননি।”
এদিকে, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর দাবি, ইউক্রেনের প্রতিনিধি কেবল বৈঠকে যোগ দিতে হবে, সেই কারণেই এসেছিলেন। যুদ্ধবিরতির দাবি আলোচ্য বিষয় ছিল না। তিনি পরমাণু আক্রমণ বা যুদ্ধের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিতে তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি না যে ইউক্রেনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব পরমাণু যুদ্ধের আকার নিতে পারে। আমি এটা বিশ্বাস করিনা এবং করতেও চাই না।”
ইউক্রেনের প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাজধানী কিয়েভই সবথেকে ভয়ঙ্কর জায়গায় পরিণত হয়েছে। রুশ সেনার ক্রমাগত আক্রমণের জেরে কিয়েভের উত্তর-পূর্ব অংশের সঙ্গে বাকি শহরের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সবথেকে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকাগুলি হল বুচা, ইরপিন, হস্তমল ও ভর্জ়েল। সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে কিয়েভের প্রায় অর্ধেকের বেশি বাসিন্দাই পালিয়ে গিয়েছেন। এখনও অবধি মানবিক করিডরের মাধ্যমে ৪৮ হাজারেরও বেশী ইউক্রেনীয়দের উদ্ধার করে আনা হয়েছে।