
কিয়েভ: যত দিন গড়াচ্ছে, ততই উদ্বেগ বাড়ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) নিয়ে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর ৬৫ দিনের মাথায় ফের রাজধানী কিয়েভ (Kyiv) কেঁপে উঠল একের পর এক বিস্ফোরণে। রুশ সেনার এই হামলা নিয়ে আরও চর্চা শুরু হয়েছে, কারণ বর্তমানে ইউক্রেন সফরেই রয়েছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তেনিও গাতেরাস (Antonio Guterres)। রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রতিনিধির উপস্থিতিতেই এই ধরনের ভয়াবহ হামলা চালানোয়, ফের একবার রাশিয়ার সমালোচনায় সরব হয়েছে পশ্চিমী দেশগুলি। ইউক্রেনের মেয়রও জানিয়েছেন, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে রাজধানীর উপর হামলা বন্ধ করলেও, ফের একবার ‘আসল রূপ’ ধরেছে রাশিয়া।
সংবাদসংস্থা এএফপি সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই ইউক্রেনে এসে পৌঁছন রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তেনিও গাতেরাস। বৃহস্পতিবার তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বের হন আর সেদিন বিকেলেই কিয়েভে আছড়ে পড়ে রাশিয়ার একের পর এক মিসাইল। জানা গিয়েছে, কিয়েভের সিটি সেন্টারের পশ্চিম অংশে এই হামলা চালানো হয়েছে। মিসাইলের আঘাতে মৃত্যু বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। তবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রধানের এক ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানানো হয়েছে যে তারা সুরক্ষিত রয়েছেন।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিট্সকো টেলিগ্রাম বার্তায় জানিয়েছেন, কিয়েভের শেভচেনস্কোভস্কি জেলায় পরপর দু’বার মিসাইল হানা চালানো হয়েছে। হামলায় হতাহতের সংখ্যা কত, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। সংবাদসংস্থা এএফপির প্রতিনিধিরাও জানান, বিকেলে কিয়েভের ডাউনটাউনে মিসাইল আছড়ে পড়ার শব্দ পাওয়া যায়। বিল্ডিংগুলি থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখেই হামলার বীভৎসতা আন্দাজ করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কির প্রধান সহকারি মাইখালো পোডোলিয়াক টু্ইট করে জানান, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তেনিও গাতেরাসের সফর চলাকালীনই কিয়েভের ডাউনটাউনে মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, “একদিন আগেই উনি (রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রধান) ক্রেমলিনের লম্বা টেবিলে বসেছিলেন আলোচনার জন্য, আর আজ ওনার মাথার উপরই বিস্ফোরণ হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিলই রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রধান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কিকে চিঠি লিখে যুদ্ধ পরিস্থিতি ও দ্রুত ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর জন্য আলোচনার কথা বলেছিলেন। সেই সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন, মস্কো ও কিয়েভ সফরে যাবেন এবং যুদ্ধের ভয়াবহতা স্বচক্ষে খতিয়ে দেখবেন। সম্প্রতিই তিনি রাশিয়ায় যান এবং সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনাও করেছিলেন।