কিয়েভ: গত সপ্তাহ থেকেই ইউক্রেন(Ukraine)-র রাজধানী দখল করার চেষ্টা করছে রুশ সেনা (Russian Troops)। লাগাতার হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ শহর খারকিভ(Kharkiv)-র উপরও। এই দুই শহর দখল করতে না পারলেও, বুধবার সকালেই জানা গেল, ইউক্রেনের দক্ষিণে অবস্থিত খেরসন(Kherson)-র দখল নিয়েছে রুশ সেনা। ইউক্রেন প্রশাসনের তরফে এখনও অবধি এই খবর নিশ্চিত না করা হলেও, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তরফেই এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। শহরের নৌবন্দর ও রেলস্টেশন দখল করে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Russian forces appear to have seized control of Kherson, a city in southern Ukraine. No word from local officials. pic.twitter.com/nsF6Gre3D1
— BNO News (@BNONews) March 2, 2022
বিএনও নিউজের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন ভোরেই খেরসন শহরের দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী। সাঁজোয়া গাড়ির বিশাল একটি বাহিনী শহরের ভিতরে ঢুকতে দেখা গিয়েছে। শহরের নৌ-বন্দর ও রেলস্টেশন দখল করে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবারই একটি টিভি অনুষ্ঠানে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পরামর্শদাতা ভাদিম ডেনিসেনকো জানিয়েছিলেন রাশিয়ার সেনাবাহিনী খেরসনের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছে। এখনও অবধি ইউক্রেনের দখলেই প্রশাসনিক বিল্ডিংগুলি রয়েছে। তবে এদিন সকালেই সেই চিত্র বদলে যায়। লাগাতার গুলি-বোমা বর্ষণ করে খেরসনের ভিতরে ঢুকে পড়ে রুশ সেনা।
গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবারই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের উপর সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন। আজ, বুধবার সপ্তম দিনে পড়ল সেই সামরিক অভিযান। আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো শক্তিধর দেশ এবং আন্তর্জাতিক মহলের তরফেও বারংবার রাশিয়াকে সতর্ক করা হচ্ছে, তবে সেই বিষয়ে কর্ণপাত করছে না রুশ প্রশাসন। অভিযান শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলের চেষ্টা করছে রাশিয়ার সেনা। তবে তারা এখনও সাফল্য পায়নি। ক্রমাগত আক্রমণ চালাচ্ছে রুশ সেনা, পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনা।
এদিন সকালে জানা যায়, কিয়েভকে চারদিক থেকেই ঘিরে ফেলেছে রুশ সেনা। প্রায় ৩০০-রও বেশি ট্যাঙ্কার নিয়ে রাশিয়ান সেনা শহরে ঢোকার চেষ্টা করছে। লাগাতার গোলাবর্ষণ হচ্ছে শহরে। গতকালই কিয়েভের টিভি সেন্টার লক্ষ্য করে পরপর দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে রুশ সেনা। ওই টিভি সেন্টারটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, গোটা শহরে টেলিভিশন সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ৫ জন আহত হয়েছে।
অন্যদিকে, খারকিভেও লাগাতার গোলাবর্ষণ হচ্ছে। মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের পর থেকেই ফ্রিডম স্কোয়ারে বোমাবর্ষণ হচ্ছে। এরফলে শহরের প্রশাসনিক বিল্ডিংগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কমপক্ষে ৬ জনের মৃত্যু ও ১২ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় প্রশাসন।