Kabul explosion: কাবুলের মসজিদে বিশাল বিস্ফোরণ, বহু মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা
Kabul mosque huge explosion: ফের কাবুলে বিস্ফোরণ। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী বুধবার (১৭ অগস্ট) সন্ধ্যার নামাজের সময় কাবুলের এক মসজিদে একটি বিশাল বিস্ফোরণ ঘটেছে।
কাবুল: ফের কাবুলে বিস্ফোরণ। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী বুধবার (১৭ অগস্ট) সন্ধ্যার নামাজের সময় কাবুলের এক মসজিদে একটি বিশাল বিস্ফোরণ ঘটেছে। এক তালিবান গোয়েন্দা কর্তা জানিয়েছেন, অন্তত ২০ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আরও অন্তত ৩৫ জন আহত। হতাহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে। কাবুল নিরাপত্তা বিভাগের মুখপাত্র খালিদ জাদরান জানিয়েছেন, কাবুলের ১৭তম নিরাপত্তা জেলায় ওই বিস্ফোরণ ঘটেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
টোলো নিউজ জানিয়েছে, সরকোটেল খৈরখানে এলাকার সিদ্দিকিয়া মসজিদে এই বিস্ফোরণ ঘটে। সেই সময় সেখানে সন্ধ্যার নামাজ পাঠের জন্য বহু নামাজি জড়ো হয়েছিলেন। বেসরকারি সূত্র মতে বিস্ফোরণে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন মৌলবী আমির মহম্মদ কাবুলিও। তিনি একজন বিশিষ্ট তালিবান ধর্মীয় পণ্ডিত। এছাড়া আরও ৪০ জন আহত হয়েছেন। তবে তালিবান সরকারের পক্ষ থেকে এখনও হতাহতের সংখ্যার বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
কাবুলের ইমার্জেন্সি হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণের পর ৫ শিশুসহ ২৭ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক শিশুর বয়স মাত্র ৭।
? #Afghanistan #Kabul: 27 people received at our hospital so far following an explosion in the PD17 area. 5 children among them, including a 7-year-old.
— EMERGENCY NGO (@emergency_ngo) August 17, 2022
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, উত্তর কাবুলের আশেপাশে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে, আশেপাশের ভবনের জানালার কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। বিস্ফোরণের পর তোলা ছবি ও ভিডিয়োতে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়িকে ঘটনাস্থলে ছুটে যেতে দেখা গিয়েছে। তালিবানি গোয়েন্দারা বিস্ফোরণস্থলে তদন্ত করছে। তবে, এই বিস্ফোরণে তালিবানি গোয়েন্দাদের ব্যর্থতার ছবিটা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবারই (১১ অগস্ট) কাবুলে এক আত্মঘাতী হামলায় মৃত্যু হয়েছিল শেখ রহিমুল্লাহ হক্কানি নামে এক তালিবানি ধর্মগুরুর। ওই ক্ষেত্রেও একটি মাদ্রাসাতেই হামলা হয়েছিল। হামলাকারীর একটি পা ছিল না। তার জায়গায় ছিল প্লাস্টিকের তৈরি কৃত্রিম পা। সেই কৃত্রিম পায়ের ভিতরেই বিস্ফোরক লুকিয়ে মাদ্রাসায় প্রবেশ করেছিল হামলাকারী। গত অগস্টে তালিবানরা ক্ষমতা পুনর্দখলের পর থেকেই, আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেট খোরাসান বা আইএসকেপি জঙ্গি গোষ্ঠী একাধিক হামলা চালিয়েছে। এর পাশাপাশি ক্রমে শক্তি বাড়াচ্ছে নর্দান রেসিস্ট্যান্স ফোর্সের মতো তালিবান বিরোধী আফগান যোদ্ধা গোষ্ঠীগুলিও। তবে এখনও পর্যন্ত এদিনের হামলার কেউ দায় স্বীকার করেনি।