ঢাকা: দেশে যখন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চরমে, সেই সময়ই গোপনে দেশ ছেড়েছিলেন শেখ হাসিনা। দেশ ছাড়ার আগে ইস্তফা দিয়ে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে। আশ্রয় নেন ভারতে। তারপর জল অনেক দূর গড়িয়েছে। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ সহ শতাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। এবার হাসিনাকে দেশে ফেরাতে বড় পদক্ষেপ করার ভাবনা ইউনূস সরকারের। শোনা যাচ্ছে, শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হতে পারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
রবিবারই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “গত জুলাই-অগস্ট মাসে ছাত্র আন্দোলনের সময় গণহত্যা চালিয়ে যারা পালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের ধরার জন্য ইন্টারপোলের মাধ্যমে নেট কর্নার নোটিস জারি করব আমরা। দ্রুত এই নোটিস জারি করা হবে। তারপর তাঁরা যেখানেই থাকুন না কেন, গ্রেফতার করে বাংলাদেশে আনার জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ করা হবে।”
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ না করলেও, এই হুঁশিয়ারি যে তাঁর উদ্দেশ্যেই ছিল, তা বলার প্রয়োজন রাখে না। শোনা যাচ্ছে, শুধুমাত্র শেখ হাসিনা নয়, তাঁর সঙ্গে আওয়ামি লীগ দলের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধেও রেড কর্নার নোটিস জারি করতে পারে ইউনূস সরকার।
যদি রেড কর্নার নোটিস জারি হয়, তবে অন্য দেশ থেকে কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে দেশে ফিরিয়ে আনা যায়। হাসিনার বিরুদ্ধে যদি রেড কর্নার নোটিস জারি হয়, তবে ভারত থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে ইউনূস সরকার।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে পড়েই গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। বিশেষ সেনা বিমানে আসেন ভারতে। তারপর থেকে ভারতেই অজ্ঞাত ঠিকানায় রয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে শোনা গিয়েছিল যে হাসিনাকে ফেরাতে প্রত্যর্পণ চুক্তির পথে হাঁটতে পারে বাংলাদেশের নতুন সরকার। এই কথা শোনা গিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের মুখেও। এবার ইন্টারপোলে রেড কর্নার নোটিস জারির সম্ভাবনা।