কাবুল: আফগানিস্তানে (Afghanistan) যুদ্ধ জয়ের পর তালিবান সরকার (Taliban) প্রতিষ্ঠিত তো হয়েছে, কিন্তু যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে শাসন চালাতে এই চরমপন্থী সংগঠনের কালঘাম ছুটছে। তালিবান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union) আধিকারীকদের মধ্যে গত সপ্তাহন্তে কথাবার্তা হয়েছে। এই আলোচনায় তালিবান সরকার আফগানিস্তানের এয়ারপোর্ট (Kabul Airport) চালু রাখার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে সাহায্য চেয়েছে। এই বৈঠক চলাকালীন ইউরোপীয় ইউনিয়নের আধিকারীকরা এই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে চলা মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে গুরুতর চিন্তা প্রকাশ করেছে।
দুই পক্ষই এই বৈঠকের জন্য নিজেদের সিনিয়র আধিকারীকদের কাতারের (Qatar) রাজধানী দোহায় (Doha) পাঠিয়েছে। এই বৈঠক সোমাবার থেকে শুরু হতে চলা আমেরিকা আর তালিবানের মধ্যে দু সপ্তাহের বৈঠকের ঠিক আগে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তালিবান আর আমেরিকার মধ্যে এই বৈঠকও দোহায় অনুষ্ঠিত হবে। ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিস (EEAS) নিজের বয়ানে বলেছে, ‘বৈঠকের অর্থ ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন দ্বারা তালিবানের অন্তরিম সরকারকে মান্যতা দেওয়া নয়। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আফগান জনগণের স্বার্থে এই বৈঠকে অংশ নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।’ প্রসঙ্গত তালিবান নিজেদের সরকারকে মান্যতা দিতে চায়।
তালিবান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন অন্তরিম বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুতাকি (Amir Khan Mutaqqi)। তাঁর সঙ্গে এই বৈঠকে শিক্ষা আর স্বাস্থ্য দফতরের অন্তরিম মন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কার্যনির্বাহী গভর্নর আর বিদেশ, অর্থ আর আভ্যন্তরিন মন্ত্রক এবং গোয়েন্দা অধিদফতরের আধিকারীকরা ছিলেন। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃত্ব দেন আফগানিস্তানের ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের বিশেষ দূত টমাস নিকোলাসন (Tomas Niklasson)। এছাড়াও এই বৈঠকে EEAS, মানবিক সাহায্য, আন্তর্জাতিক অংশিদারী আর মাইগ্রেশনের দায়িত্ব পালন করা ইউরোপীয়ান কমিশনের আধিকারীকরাও অংশ নিয়েছিলেন।
ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের বয়ানে বলা হয়েছে, তালিবান সেই আফগানদের ক্ষমা করার নিজেদের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখার অঙ্গীকার করেছে, যারা আমেরিকা আর তাদের সহযোগীদের সঙ্গে পশ্চিম সমর্থিত সরকার চলাকালীন তালিবানের বিরুদ্ধে কাজ করেছিলেন। বয়ানে বলা হয়েছে, শীতের আগমণের সঙ্গে দুই পক্ষ আফগানিস্তানে বিগড়ে যাওয়া মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে গুরুতর চিন্তা প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন মানবিক সহায়তা প্রদান করার অঙ্গিকার করেছে। ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন তালিবানের উপর অন্তর্ভুক্ত সরকার গঠনের জন্য চাপও দিয়েছে। তারা মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারেও জোর দিয়েছে।
আরও পড়ুন: AFGANISTHAN : আফগান ২২ গজে তালিবান তালা, চুপ কেন আইসিসি?