ওয়াশিংটন: উপসর্গহীন করোনা রোগীদেরই ভোগান্তি বেশি, সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এল এমনই তথ্য। বিগত এক বছর ধরে চলা ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, উপসর্গহীন করোনা রোগীদের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের এক মাসেরও বেশি সময় ধরে করোনা সংক্রান্ত নানা অসুস্থতা থাকে।
মঙ্গলবার ফেয়ার হেলথ নামক একটি অলাভজনক সংস্থার তরফে প্রায় ১১ লাখ আমেরিকাবাসীর উপরে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস অবধি সমীক্ষা করা হয়। সেখানে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি মিললেও উপসর্গহীন করোনা রোগীদের থেকে অসুস্থতা থেকেই যাচ্ছে। একে “লং কোভিড” (Long COVID) বলেও আখ্যা দেওয়া হচ্ছে।
সংক্রমণ ধরা পড়ার চার সপ্তাহ বাদেও যদি উপসর্গ থেকে যায়, তবে তাকে লং কোভিড বলা হয়। বিভিন্ন বয়সসীমার উপর করা ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, লং কোভিডের অন্যতম উপসর্গগুলি হল- সারা শরীরে যন্ত্রণা, শ্বাসকষ্ট, উচ্চ কোলেস্টেরল, অস্বস্তি, উচ্চ রক্তচাপ ও ক্লান্তিভাব।
গবেষণায় আরও জানা যায়, যারা সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাদের তুলনায় যাদের সংক্রমণ ধরা পড়ছে না কিংবা হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে না, তাদের সংক্রমণের ৩০ দিন বাদে মৃত্যুর সম্ভাবনা ৪৬ গুণ বেশি। উপসর্গহীন করোনা রোগীদের মধ্যে ১৯ শতাংশই এই লং কোভিডের ভুক্তভোগী বলে জানা গিয়েছে। করোনার উপসর্গ যুক্ত কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হননি, এমন রোগীদের ক্ষেত্রে এই অসুস্থতার হার ২৭.৫ শতাংশ।
লং কোভিডে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদেরই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে জানা গিয়েছে। তবে হৃৎযন্ত্রে প্রদাহ মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যেই বেশি দেখা গিয়েছে। তবে শুধু শারীরিক অসুস্থতাই নয়, মানসিক প্রভাবও পড়েছে। উদ্বেগ বা অ্যানজাইটির মতো সাধারণ উপসর্গের পাশাপাশি মানসিক অবসাদ, মিলেমিশে চলায় অসুবিধার মতো নানা সমস্যা দেখা গিয়েছে।