AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

গাজিয়াবাদে বৃদ্ধকে মারধরের ঘটনায় সাম্প্রদায়িক অনুভূতি উদ্রেকের চেষ্টা, একাধিক সাংবাদিক সহ টুইটারের বিরুদ্ধে দায়ের অভিযোগ

ওই বৃদ্ধের কাকুতি-মিনতির ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। তবে সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে এর কোনও সংযোগ নেই বলেই দাবি করে পুলিশ।

গাজিয়াবাদে বৃদ্ধকে মারধরের ঘটনায় সাম্প্রদায়িক অনুভূতি উদ্রেকের চেষ্টা, একাধিক সাংবাদিক সহ টুইটারের বিরুদ্ধে দায়ের অভিযোগ
অভিযোগকারী ওই বৃদ্ধ।
| Updated on: Jun 16, 2021 | 10:50 AM
Share

গাজিয়াবাদ: এক মুসলিম বৃদ্ধকে মারধর ও দাড়ি কেটে নেওয়ার ভিত্তিতে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল, তা নিয়ে এ বার আইনি ঝামেলায় জড়াল টুইটার। উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে সম্প্রতি এক বৃদ্ধকে হেনস্থা করা নিয়ে যে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের ভিত্তিতে একাধিক সাংবাদিক সহ টুইটারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল পুলিশ।

সম্প্রতিই গাজিয়াবাদের ওই ঘটনা সামনে আসে, যেখানে মুসলিম ধর্মাবলম্বী এক বৃদ্ধ জানান, তাঁকে বেশ কয়েকজন যুবক জোর করে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে একটি কুড়ে ঘরে আটকে রাখে এবং সেখানে তাঁকে মারধর, এমনকি দাড়িও কেটে নেওয়া হয়। তাঁর অভিযোগ, জোর করে তাঁকে বন্দে মাতরম ও জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতেও বাধ্য করা হয়েছে।

ওই বৃদ্ধের কাকুতি-মিনতির ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। তবে সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে এর কোনও সংযোগ নেই বলেই দাবি করে পুলিশ।  তাদের মতে, ওই বৃদ্ধ ভুয়ো তাবিজ বিক্রি করায় তাঁর উপর চড়াও হয় অভিযুক্তরা। তাঁদের মধ্যে হিন্দু ও মুসলমান উভয়ই ছিল। সাম্প্রদায়িক অনুভূতি তৈরি করার চেষ্টার অভিযোগে কয়েকজন সাংবাদিক ও টুইটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ।

উত্তর প্রদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়, গাজিয়াবাদের ওই ঘটনায় সাম্প্রদায়িকতার কোনও সংযোগ নেই। সুফি আব্দুল সামাদ নামক ওই বৃদ্ধের বিক্রি করা তাবিজকে কেন্দ্র করেই গোটা ঘটনাটি ঘটেছে। গাজিয়াবাদের লোনিতে যে এফআইআরটি দায়ের হয়েছে, রানা আয়ুব, সাবা নকভি, মহম্মদ জুবের নামক সাংবাদিকদের নাম উল্লেখ রয়েছে। অনলাইন একটি সংবাদমাধ্যমের নামেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাদের সকলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩২৩, ৫০৪ ও ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ দিকে, নিজের সাফাই দিয়ে সাংবাদিক মহম্মদ জুবের জানান, তিনি ভিডিয়োটি পোস্ট করলেও পরে তা ডিলিট করে দেন। পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরই ওই বৃদ্ধের জোর করে জয় শ্রী রাম বলানোর দাবির উপর সন্দেহ হয়, সেই কারণেই তিনি ৫ জুনের ওই ভিডিয়োটি ডিলিট করে দেন। অন্যদিকে, এটিই প্রথম মামলা, যেখানে তৃতীয় পক্ষের প্রকাশিত বিষয়বস্তুর ভিত্তিতে টুইটারকেও শাস্তির মুখে পড়তে হবে। কেন্দ্রের নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন না মানায় টুইটারের কাছ থেকে আইনি সুরক্ষা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে আজই জানায় এক সরকারি সূত্র।

আরও পড়ুন: রাত থেকেই চলছে গুলির লড়াই, শ্রীনগরে নিরাপত্তা বাহিনীর জালে আটক ২ জঙ্গি