Osman Hadi Murder: ইউনূস সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম! ‘না হলে পদত্যাগ…’, উল্টো চাপে প্রধান উপদেষ্টা
Bangladesh Update: গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার রাজপথে গুলি করা হয় ওসমান হাদিকে। মাথায় গুলি লেগে গুরুতর যখন হন এই ছাত্রনেতা। তারপর থেকেই একটু একটু করে পারদ চড়েছে বাংলাদেশে। হাদি হত্যার নেপথ্যে অভিযোগের তির গিয়েছে আওয়ামী লিগের দিকে। আর মূল অভিযুক্ত ফয়জল আপাতত দেশছাড়া। এই আবহেই চিকিৎসার জন্য হাদিকে সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর।

ঢাকা: একটা একটা করে দিন পেরিয়ে চলেছে। হাদি-হত্যার জট এখনও কাটাতে পারেনি ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। এই আবহে বাংলাদেশের অন্দরে রাতারাতি বদলেছে পরিস্থিতি। আগের তুলনায় কয়েক ধাপ চড়েছে ভারতবিরোধী সুর। সব মিলিয়ে একাংশের কাছে এই পদ্মাপাড় ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছে অচেনা।
শনিবার ইনকিলাব মঞ্চের মুখ্য ওসমান হাদির শেষ কৃত্যের (জানাজা) পর বিরাট বার্তা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। ইউনূস সরকারকে একেবারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম বেঁধে দিয়েছে তাঁরা। এদিন হাদির শেষ কৃত্যে উপস্থিত ইনকিলাব মঞ্চের সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, ‘সরকার ওসমান হাদির হত্যাকারীদের ধরতে কী করেছে? এই বিষয়ে রিপোর্ট জনসমক্ষে তুলে ধরতে হবে।’ তাও আবার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে।
প্রদত্ত ডেডলাইনের মধ্যে কাজ না হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীকে নিজ পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে বলেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ওই ইনকিলাব মঞ্চের নেতা। এই শেষ কৃত্যে উপস্থিত ছিলেন হাদির ভাই আবু বকর সিদ্দিক। অন্তর্বর্তী সরকারের উপস্থিত উপদেষ্টাদের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে তিনি বলেন, ‘রাজধানীতে প্রকাশ্য দিবালোকে হাদিকে খুন করা হল। তারপর সেই অভিযুক্তরা পালিয়ে গেল। এটা কীভাবে সম্ভব?’
গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার রাজপথে গুলি করা হয় ওসমান হাদিকে। মাথায় গুলি লেগে গুরুতর যখন হন এই ছাত্রনেতা। তারপর থেকেই একটু একটু করে পারদ চড়েছে বাংলাদেশে। হাদি হত্যার নেপথ্যে অভিযোগের তির গিয়েছে আওয়ামী লিগের দিকে। আর মূল অভিযুক্ত ফয়জল আপাতত দেশছাড়া। এই আবহেই চিকিৎসার জন্য হাদিকে সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করা হয়েছিল। কিন্তু প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। টানা ছ’দিন পর মৃত্যু হয় হাদির। সেই থেকে অশান্ত বাংলাদেশ।
