AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Taliban 2.0 : সন্তান-আত্মীয়দের চাকরি থেকে ছাঁটাই করতে আধিকারিকদের নির্দেশ তালিবানের

Taliban 2.0 : সরকারি পদে ঘনিষ্ঠ আধিকারিকদের বরখাস্ত করতে হবে। এই মর্মে ডিক্রি জারি করা হয়েছে আফগানিস্তানে।

Taliban 2.0 : সন্তান-আত্মীয়দের চাকরি থেকে ছাঁটাই করতে আধিকারিকদের নির্দেশ তালিবানের
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Mar 20, 2023 | 6:19 PM
Share

কাবুল: আফগানিস্তানে তালিবান (Taliban 2.0) ক্ষমতা কায়েম করার পর থেকে একের পর এক ফরমান জারি করেছে। তার অধিকাংশই যে জনবিরোধী তা বলাই বাহুল্য। কখনও মেয়েদের পড়াশোনা বা চাকরি নিয়ে নেমে এসেছে কঠোর নির্দেশিকা। তবে এবার এক ভিন্ন ফরমান নিয়ে এল তালিব প্রশাসন। বিবিসির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারি বিভিন্ন পদে কর্মরত আফগান আধিকারিকদের পরিচিতদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। এই নির্দেশ দিয়ে একটি ডিক্রিও জারি করেছেন তালিবান নেতা হাবিতুল্লাহ আখুনজ়াদা।

২০২১ সালে তৎকালীন সরকারকে উৎখান করে আফগানিস্তানের দখল নেয় তালিবান। ক্ষমতা কায়েমের পরই একাধিক সরকারি আধিকারিকদের বরখাস্ত করা হয়। আবার অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। সেই সময় অভিযোগ করা হয়, ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতা থেকে কিছু অনভিজ্ঞকে মানুষকে সরকারি বিভিন্ন পদে বসানো হয়েছে। তালিব প্রশাসনের অভিযোগ, অনেক সরকারি আধিকারিকই যোগ্যতা যাচাই না করে নিজেদের ঘনিষ্ঠ ও কাছের মানুষদের বিভিন্ন দফতরে নিয়োগ দিয়েছে। এমনও অভিযোগ ছিল, তালিব সদস্যরা নিজেদের ছেলেদের সরকারি বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়েছে। এবার সেইসব কর্মীদের ছাঁটায়ের ডিক্রি জারি করেছেন তালিব নেতা আখুনজ়াদা। শনিবার টুইটারে সেই ডিক্রির বিষয়ে জানানোও হয়।

প্রসঙ্গত, তালিবানরা আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেওয়ার পরই সেই দেশ চরম আর্থিক ও মানবিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। ক্ষমতা কায়েমের পরই নিজের স্বরূপ প্রকাশ করতে থাকে তালিবান ২.০। তালিব সরকারের সদস্য়দের উপর নেমে আসে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা। বিশ্বের একাধিক দেশ অর্থ সাহায্য়ও বন্ধ করে দেয়। তার ফলে সেদেশের অর্থনীতি প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাকৃতিক গ্য়াস, তামার মতো বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদের উৎস আফগানিস্তানের কাছে থাকলেও অর্থের অভাবে সেই দেশের অর্থনীতিতে নেমে এসেছে কালো মেঘ। এছাড়াও শিক্ষা যেন সেদেশে এখনও বিতর্কের বিষয়। যেমন এখনও সেদেশে বহু মেয়ের উচ্চশিক্ষার জন্য স্কুলে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে তালিব প্রশাসন।