AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Taliban: নিছক সন্দেহের বশে শিশুকেও রেয়াত করল না তালিবান, রক্তাক্ত দেহ ঘিরে কান্নার রোল পঞ্জশীরে 

Afghanistan: শিশুর বাবা প্রতিরোধ বাহিনীর সদস্য বলে অনুমান করেই এই কাজ করেছে তালিবান।

Taliban: নিছক সন্দেহের বশে শিশুকেও রেয়াত করল না তালিবান, রক্তাক্ত দেহ ঘিরে কান্নার রোল পঞ্জশীরে 
ছবি: ফাইল চিত্র
| Edited By: | Updated on: Sep 28, 2021 | 11:31 AM
Share

পঞ্জশীর: ২০ বছরে কিছুই বদলায়নি। মুখে ভাবমূর্তি বদলানোর কথা বললেও আদতে যত দিন যাচ্ছে, ততই প্রকট হচ্ছে তালিবানের (Taliban) আসল রূপ। মুখোশ খুলে বেরিয়ে আসছে সেই পুরনো চেহারা। এবার এক শিশুকেও নির্দ্বিধায় মেরে ফেলল তারা। পঞ্জশীরে (Panjshir) এক শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তালিবান। তাদের অনুমান, শিশুর বাবা প্রতিরোধ বাহিনীর (Resistance Force) সদস্য।

পঞ্জশীরের পর্যবেক্ষকের রিপোর্ট অনুযায়ী, তালিবান এক শিশুকে হত্যা করেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে একটি টুইট করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে চারপাশে ছড়িয়ে আছে রক্ত। তার মধ্যে পড়ে রয়েছে এক শিশুর মৃতদেহ। তার চারপাশে বেশ কয়েকজন শিশুকে কাঁদতে দেখা যাচ্ছে। ওই পর্যবেক্ষক টুইটে লিখেছেন, শিশুর বাবা প্রতিরোধ বাহিনীর সদস্য, এমনটা সন্দেহ করেই শিশুকে হত্যা করেছে তালিবরা। তাঁর টুইটের সঙ্গেই রয়েছে সেই ভিডিয়ো, যেখানে দেখা যাচ্ছে রাসতার ওপর পড়ে আছে শিশুর নিথর দেহ।

কাবুলের মসনদে তালিবান পৌঁছনোর পর যে আতঙ্কে আফগানিস্তানের বাসিন্দারা দেশ ছাড়তে চাইছিলেন, সেটাই ক্রমে সত্যি হচ্ছে। তালিবান সেই সময় ভরসা দিয়ে বলেছিল, তারা নাকি বদলে গিয়েছে। উদারতার নজির তৈরি করার কথাও শোনা গিয়েছিল তাদের মুখে। আসরাফ ঘানি দেশ ছাড়ার পর এক মাসেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। তালিবানের যে কোনও বদলই হয়নি, সেটা বেশ বুঝে গিয়েছে আফগানরা। শুধু একটি ঘটনা নয়, প্রতিনিয়ত এমন একাধিক ঘটনায় নিজেদের সেই হিংস্র রূপই সামনে আনছে তালিবান।

কয়েকদিন আগে আরও এক নৃশংসতাএ ছবি দেখা যায় আফগানিস্তানের হেরাট প্রদেশে। এক ব্যবসায়ী ও তাঁর ছেলেকে অপহরণের অভিযোগে তালিবানের সঙ্গে গুলির লড়াই হয় ওই চারজনের। চারজনকেই নিকেশ করে তালিবানিরা। এরপরই তাদের দেহ নিয়ে সড়কের মাঝখানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, যাতে সকলেই দেখতে পান। হেরাটের ডেপুটি গভর্নর মৌলবি সইর আহমেদ এমার জানান, অপহরণের খবর পেতেই তালিবানি যোদ্ধারা ওই অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে এবং তাদের সঙ্গে গুলির সংঘর্ষ শুরু হয়। অপহরণের উচিত শাস্তি দিতে এবং বাকি অপহরণকারীদের সতর্ক করতে হেরাট স্কোয়ারে তাদের দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত ওই দেহগুলি একটি তালিবানি পতাকা লাগানো গাড়িতে পড়ে রয়েছে। ক্রেনের সাহায্যে একের পর এক দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পথচলতি সাধারণ মানুষ সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে থমকে দাঁড়ালেও নিরুত্তাপ তালিবানি যোদ্ধারা। বন্দুক হাতে তারা গল্পে মশগুল। ভাইরাল হওয়া আরেকটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, ক্রেনে ঝুলন্ত এক ব্যক্তির দেহে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে তালিবানিরা। তাতে বড় বড় হরফে লেখা অপহরণকারীদের এভাবেই শাস্তি দেওয়া হবে। এই অবস্থায় আফগানদের মানবাধিকার নিয়ে বারবার সওয়াল করছে বিশ্বের অন্যান্য দেশ।

আরও পড়ুন: North Korea: কোনওভাবেই দমবেন না! সমুদ্রে মিসাইল নিক্ষেপ করে আবারও বোঝালেন কিম জং উন