Bangla NewsWorld North Korea again fires suspected ballistic missile, reports South Korea
North Korea: কোনওভাবেই দমবেন না! সমুদ্রে মিসাইল নিক্ষেপ করে আবারও বোঝালেন কিম জং উন
Ballistic Missile: দক্ষিণ কোরিয়ার তরফ থেকে জানানো হয়েছে উত্তর কোরিয়া কোনও এক অস্ত্র নিক্ষেপ করেছে সমুদ্রে, যেটি ব্যালিস্টিক মিসাইল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
মাসখানেকের মধ্যে দ্বিতীয়বার অস্ত্র পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার
Follow Us:
আবারও অস্ত্র উৎক্ষেপণ করল উত্তর কোরিয়া (North Korea)। আন্তর্জাতিক মহল থেকে বারবার বার্তা যাওয়া সত্ত্বেও অস্ত্র পরীক্ষা থেকে কোনোভাবেই বিরত থাকতে নারাজ কিম জং উন (Kim Jong Un)। উত্তর কোরিয়ার এই সর্বাধিনায়কেত নেতৃত্বেই একের পর এক অস্ত্র পরীক্ষায় শক্তি প্রদর্শন করে এই দেশ। মঙ্গলবার ফের এক আগ্নেয়াস্ত্র পরীক্ষা করেছে পিয়ংইয়ং। ঠিক কোন অস্ত্র উৎকক্ষেপণ করা হয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার অনুমান ফের একবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার একটি দ্বীপ থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছে এক বিশেষ অস্ত্র। মঙ্গলবার সকালে সেটিই গিয়ে পড়ে মাঝ সমুদ্রে। কোন অস্ত্র ছোড়া হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে জানাতে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়া। তবে ওয়াশিংটন ও সিওলের বিশেষজ্ঞরা অস্ত্রের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে দেখছেন। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, এটি ব্যালিস্টিক মিসাইল বলেই অনুমান। তবে আর কোনও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে কোরিয়ান যুদ্ধ শেষ করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সে কথা মানতে নারাজ উত্তর কোরিয়া। এই ইস্যুতে এক ধাপ এগিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার দেওয়া এই প্রস্তাবকে ‘শিশুসুলভ মন্তব্য’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছে উত্তর কোরিয়ার তরফে। কিম জং উন এখনও নিজের জায়গায় অনড়। উত্তর কোরিয়া সরকারের পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়, যুদ্ধে ইতির কথা ঘোষণা করা হলেও, উত্তর কোরিয়ার প্রতি মার্কিন নীতি প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি।
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের সভায় সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি মুন জে ইন চিরস্থায়ীভাবে যুদ্ধ বিরতির পক্ষে জোরলো সওয়াল করেন। এবং দুই কোরিয়ার মধ্যে যাবতীয় সমস্যার সমাধান আমেরিকার তত্ত্বাবধানে হোক, এমনটাই দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ অবধি চলা দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শেষের পর থেকেই বারবার বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ চরমে উঠেছে।