Taliban: আফগান নাগরিকদের দাড়ি না কাটতে নাপিতদের কড়া নির্দেশ তালিবানের

Afghanistan, তালিবানের এই ধরনের কার্যকলাপ ১৯৯৬ থেকে ২০০১ অবধি চলা তালিবান সরকারের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ইঙ্গিতই স্পষ্ট যে শাসক রূপে কাবুলের মসনদে বসা এই তালিবানও ঠিক যেন 'নতুন বোতলে পুরানো মদ'

Taliban: আফগান নাগরিকদের দাড়ি না কাটতে নাপিতদের কড়া নির্দেশ তালিবানের
আফগানিস্তানে সশস্ত্র তালিব যোদ্ধা (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 27, 2021 | 8:39 PM

কাবুল: বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না কিছুতেই। বারবার মৌলিক অধিকারে (Basic Human Rights) হস্তক্ষেপের অভিযোগে জেরবার আফগানিস্তানের (Afghanistan) নয়া শাসকরা। গত অগস্টের ১৫ তারিখ আফগান মসনদে অধিষ্ঠিত হয়েছে তালিব যোদ্ধারা, তারপর থেকেই দেশজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশের মধ্যে একের পর এর নয়া নিয়মের বেড়াজাল। বাস্তবিক অর্থেই যেন প্রাসঙ্গিক তালিবানি ফতোয়া। এবার নিশানায় আফগান সেলুন (Saloon) ও বিউটি পার্লারের হেয়ার ড্রেসাররা। সেলুনে আগত গ্রাহকদের দাড়ি না কাটতে নাপিতদের নির্দেশ তালিবানের। শুধু এখানে শেষ নয়, এখন থেকে নিজের ইচ্ছামতো চুল কাটাতেও পারবেন না তালিবান (Taliban) নাগরিকরা। আফগানিস্তানের হেলমন্দ প্রদেশে জারি হয়েছে এই নয়া নিয়ম।

তালিবানের লেখা চিঠিকে উদ্ধৃত করে একটি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে “দক্ষিণ আফগানিস্তানের হেলমন্দ প্রদেশে (Helmand province) চুল কাটা ও দাড়ি ছোটো করে কেটে ফেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবান। ” তালিবানের লেখা ওই চিঠিতে আরও লেখা রয়েছে, সেই দেশের ইসলাম বিষয়ক দফতরের আধিকারিকরা হেলমন্দ প্রদেশের বিভিন্ন সেলুনে কর্মরত নাপিতদের বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে তাদের দাড়ি না কাটার উপদেশ দেওয়া হয়।

দাড়ি ছোটো না করার এই নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই সোশ্য়াল মিডিয়াতে (Social Media) ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে তালিবানের আবেদন, হেলমন্দ প্রদেশের কোনও সেলুনে যেন কোনও রকমের গান না চালানো হয়।

তালিবানের এই ধরনের কার্যকলাপ ১৯৯৬ থেকে ২০০১ অবধি চলা তালিবান সরকারের (Taliban Govt) কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ইঙ্গিতই স্পষ্ট যে শাসক রূপে কাবুলের মসনদে বসা এই তালিবানও ঠিক যেন ‘নতুন বোতলে পুরানো মদ’। আগের সরকারের সময়ে তাঁরা ইসলাম মৌলবাদী শরিয়া আইন (Islamic Sharia law) অনুসারে দেশ শাসন করেছিল, এবারও যে সেই শাসন ব্যবস্থা পুণঃবহাল হতে চলেছে সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

আফগানিস্তানে তালিবানের বিরুদ্ধে বারবার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। এর আগে সেদেশের হেরাত শহর থেকে চারজনকে অপহরণ করে হত্যা করে তালিবান। তারপরে সেই মৃত দেহগুলু জনসমক্ষে প্রদর্শিত হয়।

কাবুলের (Kabul) ক্ষমতায় তালিবান আসার পর, সব থেকে বেশি আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সেদেশের মহিলারা। আগের শাসনে মহিলাদের যাবতীয় অধিকার খর্ব করা হয়েছিল। তালিবানের বর্তমান শাসনেও প্রশ্নচিহ্নের মুখে মহিলাদের নিরাপত্তা (Women Security)। সম্প্রতি ছেলেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা ঘোষণা হলেও মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে নীরব অবস্থান নিয়েছিল তালিব যোদ্ধারা। এমনকি মহিলাদের শান্তি পূর্ণ মিছিলে নির্বিচারে আক্রমণ চালানোর অভিযোগ ওঠে তালিবানের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন Supreme Court on NEET PG: ‘ক্ষমতার খেলায় ডাক্তারদের ফুটবল ভাববেন না’, কেন্দ্রকে জোর ধমক সুপ্রিম কোর্টের

আরও পড়ুন Nadia: দু’দিন আগে গ্রেফতার হয় বাংলাদেশি পুলিশকর্তা, এ বার নদিয়া পুলিশের জালে ২ অনুপ্রবেশকারী