Taliban: কাবুলে জ়াওয়াহিরির উপস্থিতি নিয়ে তথ্য ছিল না! বিবৃতিতে জানাল তালিবান

Zawahiri Death: বাইডেন প্রশাসনের এক উচ্চ পদস্থ অফিসার জানান, কাবুলের একটি তিনতলা বাড়ির ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন জ়াওয়াহিরি। তখনই ২টি হেলফায়ার মিসাইল নিশানায় তাঁকে খতম করা হয়।

Taliban: কাবুলে জ়াওয়াহিরির উপস্থিতি নিয়ে তথ্য ছিল না! বিবৃতিতে জানাল তালিবান
আল জ়াওয়াহিরি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 05, 2022 | 5:48 PM

কাবুল: কাবুলে আলকায়দা প্রধান আল জ়াওয়াহিরির উপস্থিতি অস্বীকার করল তালিবান। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন, মার্কিন ড্রোন হানায় মৃত্যু হয়েছে আলকায়দা প্রধান আল জ়াওয়াহিরির। সেই ঘোষণারপর এই প্রথম জ়াওয়াহিরির নাম উল্লেখ করে বিবৃতি দিল ইসলামিক এমিরেটস অব আফগানিস্তান। সেই বিবৃতিতে তালিবান জানাল, কাবুলে জ়াওয়াহিরির উপস্থিতি নিয়ে কোনও তথ্যই ছিল না তালিবান নেতৃত্বের কাছে। তালিবান বলেছে, “ইসলামিক এমিরেটস অব আফগানিস্তান আল জ়াওয়াহিরির কাবুলে আসা এবং থাকার ব্যাপারে কিছু জানত না।” আলকায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের চিকিৎসক ছিলেন জ়াওয়াহিরি। ৯/১১ হামলা অন্যতম প্রধান চক্রী মনে করা হয় তাঁকে। ২০১১ সালে লাদেনের মৃত্যুর পর আলকায়দা প্রধান হন জ়াওয়াহিরি। তাঁর মৃত্যু আলকায়দার কাছে বড় ধাক্কা বলে মত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের।

বাইডেন প্রশাসনের এক উচ্চ পদস্থ অফিসার জানান, কাবুলের একটি তিনতলা বাড়ির ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন জ়াওয়াহিরি। তখনই ২টি হেলফায়ার মিসাইল নিশানায় তাঁকে খতম করা হয়। বাইডেন বলেন, “আমেরিকার মাটিতে হামলার বিচার সম্পূর্ণ হল।” এই ঘটনা সামনে আসার পরই আফগানিস্তানের মাটিতে জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তালিবানের বিরুদ্ধে। যদিও আমেরিকার ঘোষণার পর খুব সাবধানী প্রতিক্রিয়া দেন তালিবান নেতৃত্ব। জ়াওয়াহিরির নাম মুখেও আনেননি তাঁরা। বরং আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে আমেরিকার এই হামলার নিন্দা করা হয়েছিল। দোহা চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগও করা হয়েছিল। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে আমেরিকাকে ফল ভুগতে হবে বলে হুশিয়ারিও দিয়েছিল। এই ঘটনার তদন্ত করবে বলেও জানিয়ছিল তালিবান। এর পরই কাবুলে জ়াওয়াহিরির উপস্থিতির বিষয়টি অস্বীকার করল তালিবান।

২০০১ সালে আয়কায়দার হামলার পর আফগানিস্তানে সেনা পাঠায় আমেরিকা। দীর্ঘ দু দশক আফগানিস্তানে ছিল মার্কিন সেনা। ততদিনে তালিবান ক্ষমতা থেকে সরে গিয়েছে। ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে আমেরিকা। এরপর ফের আফগানিস্তানের দখল যায় তালিবানের হাতে। আফগানিস্তানের নাম পরিবর্তন করে ইসলামিক এমিরেটস অব আফগানিস্তান রাখে তালিবান।