Bangladesh: বাংলাদেশে মৌলবাদীদের চালনা করছে একজন হিন্দু বাঙালি? শাস্তির দাবি তুলে বড় ইঙ্গিত তসলিমার
Bangladesh: তাঁর আরও দাবি, 'ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে সবাই লিখুন যে পিনাকি ভট্টাচার্য নামক এক ইসলামি সন্ত্রাসী প্যারিসে বাস করছে। সে অনলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভয়ের আবহ তৈরি করছে। তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট বেশি হলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে।

এবার সেই পিনাকি ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তসলীমা নাসরিন। বাংলাদেশে তৈরি হওয়া অস্থিরতার জন্য তার দিকেই দায় ঠেলে দিলেন তিনি। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘অনলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভয়ঙ্কর বর্বরতা, সন্ত্রাস এবং নৃশংসতা ছড়াচ্ছে, দেশের জাতীয় সম্পদ নষ্ট করছে পিনাকি ভট্টাচার্য। এই হিন্দু নামধারী ইসলামী সন্ত্রাসীটি গণতন্ত্র বিরোধী, মানবাধিকার বিরোধী, বাকস্বাধীনতা বিরোধী এবং নারীবিদ্বেষী।’
তাঁর আরও দাবি, ‘ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে সবাই লিখুন যে পিনাকি ভট্টাচার্য নামক এক ইসলামি সন্ত্রাসী প্যারিসে বাস করছে। সে অনলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভয়ের আবহ তৈরি করছে। তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট বেশি হলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে। ইসলামি সন্ত্রাসবাদীরা সেদেশের কম ক্ষতি করেনি। আজ পিনাকি তার নিজের দেশে সন্ত্রাস করছে, কাল ফ্রান্সেও করতে পারে। সুতরাং, প্রেসিডেন্টকে ব্যাপারটা গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’
উল্লেখ্য, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ থেকে নিজের MBBS ডিগ্রি নেওয়ার পরে পরবর্তী পড়াশোনার জন্য ফ্রান্সে চলে যান পিনাকি। এর দশক কয়েক পর সেদেশের রাজনৈতিক শরণার্থী হয়ে যান তিনি। তবে শরণার্থী হওয়ার আগে অনেকটা সময় বাংলাদেশের অন্দরে রাজনৈতিক কার্যকলাপে যুক্ত ছিলেন তিনি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাংলাদেশে বরাবর হাসিনা-বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে এসেছে সে। এমনকি, তার একাধিক ভিডিয়োতে কান পাতলে ‘ধানমন্ডির বাড়ি ভেঙে দেওয়ার’ নিদান হামেশাই শোনা যাবে। অবশ্য, সেই বাড়ি আপাতত আগুনে জ্বালিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে মৌলবাদীরা। আর তা নিয়ে ক্ষোভ চড়িয়েছেন তসলিমা।
রাজনৈতিক পিচে পিনাকি
প্রথম জীবনে ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। যোগ দিয়েছিলেন ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থানেও। রাজনৈতিক জীবনের প্রথম থেকে তিনি আওয়ামী লীগ বিরোধী।
রাজনীতি থেকে অ্যাক্টিভিজম
সোশ্য়াল মিডিয়ায় তার পরিচিতি কোনও রাজনীতিক নয়। বরং অ্যাক্টিভিস্ট হিসাবে। ২০১৮ সালে যখন সড়ক-নিরাপত্তা আন্দোলনের জেরে হাসিনার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন শহিদুল আলম। সেই সময়কালেই পিনাকিকে তাদের সদর দফতরে তলব করে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা। বিপদ বুঝেই এক বন্ধুর হাত ধরে প্রথমে ব্যাঙ্কোক। পরে ফ্রান্সে গিয়ে রাজনৈতিক শরণার্থী হন তিনি। সেই থেকে ওই দেশেই রয়ে গিয়েছেন পিনাকি।
প্রসঙ্গত, এই অনলাইন আন্দোলনকারীর মুখে কিন্তু শোনা গিয়েছে ভারতবিরোধী বার্তাও। ‘হুব্বা’ সিনেমা প্রকাশের পর তিনি বাংলাদেশের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের আর্জি করেছিলেন ভারতীয় প্রযোজনার সঙ্গে না কাজ করার। এমনকি বাংলাদেশের অন্দরে ভারতীয় পণ্যে বয়কটের দাবিতেও সুর চড়িয়েছিলেন তিনি।
