Pakistan Banyan Tree: পাকিস্তানে ১২৫ বছর ধরে ‘গ্রেফতার’ এই বটগাছ, কী অপরাধে জানেন?
Pakistan Banyan Tree: গাছ কি পালাতে পারে? মানুষ অপরাধ করলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়, হাতকড়াও পরানো হয়। কিন্তু গাছের কী এমন অপরাধ থাকতে পারে, যাতে তাকেও শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়। আসলে এর পিছনে রয়েছে শতবর্ষ পুরনো এক অদ্ভুত ঘটনার ইতিহাস। সেই ঘটনা জানলে অবাক হতে হয়।
পেশায়ার: কোনও বন্দিকে যখন কারাগারের ভিতর থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তাঁকে হাতকড়া পরানো হয় যাতে সে পালানোর পথ না পায়। তাই বলে গাছকেও পরানো হবে বেড়ি! গাছ যাতে না পালায়, তার জন্য গ্রেফতার করা হবে তাকে! ১২৫ বছর ধরে এভাবেই বন্দি হয়ে আছে একটি বটগাছ। প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে লোহার শিকল দিয়ে ২৪ ঘণ্টা বেঁধে রাখা হয় সেই গাছকে। গত ১২৫ বছর ধরে একই ছবি দেখা যাচ্ছে।
পাকিস্তানের পেশোয়ারে একটি গাছ রয়েছে। এটি দেখলে মনে হবে, তাকে হাতকড়া পরানো হয়েছে। এই গাছটি ১৮৯৯ সাল থেকে এভাবে গ্রেফতার হয়ে রয়েছে। এর পিছনে ছিলেন এক ব্রিটিশ অফিসার, জেমস স্কুইড। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এই গাছটিকে আটক করেছিলেন তিনি।
জানা যায় জেমস স্কুইড ওই জায়গায় দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ছিলেন। একদিন মদের নেশায় এই গাছের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর মনে হয়েছিল গাছটি তাঁর কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। গাছের কাছে যেতেই তাঁর মনে হয়েছিল, গাছটি জায়গা বদল করছে। এটা দেখে তিনি রেগে যান এবং মেস সার্জেন্টকে নির্দেশ দেন এই গাছটিকে অ্যারেস্ট করে শিকল দিয়ে মাটিতে বেঁধে দিতে। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত এই গাছটি এভাবেই শিকল দিয়ে বাঁধা।
বর্তমানে গাছটি রয়েছে খাইবার রাইফেলস অফিসার্স মেসে। গাছের উপরে একটা বোর্ড আছে যাতে তার বাঁধার পুরো গল্প লেখা আছে। পর্যটকরা অনেকেই দেখতে যান সেই গাছ। বাসিন্দারা মনে করেন এই গাছটি ব্রিটিশদের অত্যাচারের প্রতীক। তাঁদের মতে, এই গাছটি এমনভাবে রাখা হয়েছে, এটা বোঝানোর জন্য যে ব্রিটিশরা কতটা অত্যাচার করত।