Japan Plane Accident: যাচ্ছিলেন ভূমিকম্পের ত্রাণ দিতে, টোকিয়োর বিমান দুর্ঘটনায় মৃত পাঁচ কোস্ট গার্ড

Japan Plane Accident: সোমবার জাপানে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প এবং সুনামির পর, উপদ্রুত এলাকাগুলিতে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য কোস্ট গার্ডের ওই বিমানটি অপেক্ষা করছিল। জাপানের পশ্চিম উপকূলের নিগাতা বিমানবন্দরে যাওয়ার কথা ছিল বিমানটির। কিন্তু, তার আগেই জাপানি এয়ারলাইন্সের বিমানটির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিমানটির। নিহত ৫ কোস্ট গার্ড।

Japan Plane Accident: যাচ্ছিলেন ভূমিকম্পের ত্রাণ দিতে, টোকিয়োর বিমান দুর্ঘটনায় মৃত পাঁচ কোস্ট গার্ড
হানেদা বিমানবন্দরে জ্বলছে বিমান Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Jan 02, 2024 | 5:37 PM

টোকিয়ো: টোকিয়োর হানেদা বিমানবন্দরের রানওয়েতে দুই বিমানের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত পরাঁচ জনের মৃত্যুর খবর এলে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর), হানেদা বিমানবন্দরে অবতরণের সময় জাপানি উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি বিমানে ধাক্কা মেরেছিল জাপানি এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। ওই বিমানে আট শিশু এবং ১২ জন ক্রু সদস্য সহ মোট ৩৭৯ জন ছিলেন। তাঁদের নিরাপদে উদ্ধার করা গেলেও, উইপকূলরক্ষী বাহিনীর বিমানে থাকা ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাপানি কোস্টগার্ড।

জাপানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উপকূলরক্ষী বাহিনীর বিমানটি ছিল একটি এমএ৭২ ফিক্সড-উইং বিমান। সোমবার জাপানে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প এবং সুনামির পর, উপদ্রুত এলাকাগুলিতে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য কোস্ট গার্ডের ওই বিমানটি অপেক্ষা করছিল। জাপানের পশ্চিম উপকূলের নিগাতা বিমানবন্দরে যাওয়ার কথা ছিল বিমানটির। সেখানে জোড়া বিপর্যয়ে আটকে পড়া ব্যক্তিদের ত্রাণ পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল বিমানটি। দুর্ঘটনার সময় বিমানটিতে ছয়জন ক্রু সদস্য ছিলেন। বিমানটির পাইলট ভাগ্যক্রমে রক্ষা পেলেও বাকিদের ভাগ্য সহায় হয়নি। দুর্ঘটনার পরপরই জাপানি কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ওই পাঁচজনের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। পরে তারা জানায়, ওই পাঁচজনেরই মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষের পর আগুনে পুড়েই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে।

জাপানি এয়ারলাইন্সের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, যাত্রীবাহী বিমানটি হোক্কাইডো দ্বীপের শিন-চিটোসে বিমানবন্দর থেকে টোকিয়োর হানেদা বিমানবন্দরে এসেছিল। অবতরণের সময়ই কোস্টগার্ড বিমানের সঙ্গে সেটির ধাক্কা লাগে। ঘটনার পর হানেদা বিমানবন্দরের সমস্ত রানওয়েগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার কার্যালয় থেকে, ক্ষয়ক্ষতি দ্রুত মূল্যায়ন করে জনসাধারণের কাছে তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পর, জাপান এয়ারলাইন্সের বিমানটিকে জ্বলতে থাকা অবস্থাতেই রানওয়ে বরাবর চলতে দেখা গিয়েছিল। সেটি থামার পরই দ্রুত, যাত্রী ও কত্রু সদস্যদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়।

আগুন নেভাতে ৭০টিরও বেশি দমকলের ইঞ্জিন মোতায়েন করা হয়েছে। তবে, বিমানটি আগুনে পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। আগুনে পুড়ে বিমানটি মাঝখান থেকে দুই ভাগে ভেঙেও গিয়েছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। গত কয়েক দশক ধরে জাপানে কোনও বড় মাপের বাণিজ্যিক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেনি। ১৯৮৫ সালে, টোকিয়ো থেকে ওসাকা যাওয়ার পথে একটি জাপান এয়ারলাইন্সের জাম্বো জেট মধ্য গুনমা অঞ্চলে ভেঙে পড়েছিল। মোট ৫২০ জন যাত্রী এবং ক্রু সদস্যরা সকলেই নিহত হয়েছিলেন। বিশ্বের সবথেকে মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনার একটি ছিল এই দুর্ঘটনা। তারপর থেকে বড় কোনও ঘটনা ঘটেনি।