
ইসলামাবাদ: ২০০৬ সাল। RSS-এর নাগপুর সদর দফতরে পুলিশের বেশে ঢুকে পড়ে একদল জঙ্গি। তৎকালীন সময়ে সদর দফতরে থাকা পুলিশি নিরাপত্তার কারণে একেবারে প্রাণকেন্দ্র পর্যন্ত যেতে পারে না তারা। ছদ্মবেশি জঙ্গিদের ‘চাল’ বুঝতে পেরে গুলি চালায় সেখানে মোতায়েন থাকা পুলিশ বাহিনী। খতম হয় তিন জঙ্গি। প্রাণ যায় দুই মহারাষ্ট্র পুলিশের।
জানা যায়, সন্ত্রাসহানা এই ছক কষেছিল পাক মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি গোষ্ঠী। হামলার গোটা কৌশল সাজিয়েছিল লস্কর কমান্ডর আবু সইফুল্লা ওরফে রজুল্লা। এই ঘটনার ১৯ বছর পর অবশেষে খতম হল সেই মূলচক্রী রজুল্লা।
সূত্রের খবর, পাকিস্তানেই এক অজ্ঞাত পরিচয়ের গুলিতে শেষ হয়েছে RSS সদর দফতরে হামলা চালানো মূল চক্রী। এদিন পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের মাতলি ফালকারা চক এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে রজুল্লার দেহ। কিন্তু হঠাৎ করে কার গুলিতে মৃত্যু হল তার? ভারত সরকার আগেই জানিয়েছে, সংঘর্ষ বিরতিতে রয়েছে দুই দেশ। কিন্তু অপারেশন সিঁদুর চলছে। এই মৃত্যু তার ফল নয় তো? প্রশ্ন তুলছে একাংশ।
Toh ayyiye shuru karte hai.
Lashkar-E-Tayyaba’s & Jamaat leader Razullah Nizamani alias Abu Saifullah, a resident of Malan, was shot dead by Unknown Gunmen near Matli Phalkara Chowk, Sindh, Pakistan
Love you unknown #Gunman pic.twitter.com/82UlcF9pOR
— Paras Nayak (@jmmwg10) May 18, 2025
অন্যদিকে, আরেক অংশের বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রজুল্লার মৃত্যুর কারণ বালোচরাও হতে পারে। সাম্প্রতিক কালে, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে আবহে নতুন করে ‘শক্তি’ বাড়িয়েছে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি। পাক সরকারের উপর ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছে তারা। এই মৃত্যু সেই চাপেরও একটা নমুনা হতে পারে। উল্লেখ্য, RSS সদর দফতর ছাড়া, কাশ্মীর ও উত্তরপ্রদেশের রামপুরের সেনা ছাউনিতেও হামলার ছক কষেছিল এই রজুল্লা।