AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Top Secret Pentagon Report: ফাঁস হওয়া পেন্টাগন রিপোর্টে তোলপাড় ওয়াশিংটন, কেন?

Top Secret Pentagon Report: ফাঁস হওয়া পেন্টাগন রিপোর্টে তোলপাড় ওয়াশিংটন, কেন?

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Purvi Ghosh

Updated on: Dec 13, 2025 | 7:13 PM

Share

মার্কিন কংগ্রেসে এই মুহূর্তে সারা বছরের কাজকর্ম খতিয়ে দেখা এবং একাধিক ব্রিফিং চলছে। সেই প্রেক্ষিতেই গত ১৯ নভেম্বর তাইওয়ানে মার্কিন প্রস্তুতি নিয়ে রিপোর্ট দেয় পেন্টাগনের ওয়ারফেয়ার অ্যাসেসমেন্ট অফিস। সেই রিপোর্টের মূল অংশ ফাঁস হয়ে গিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পিপলস লিবারেশন আর্মির ঝটিকা আক্রমণ সামলানোর ক্ষমতা আমেরিকার নেই। সংঘর্ষ যদি দেড় বা দু’দিনও চলে, তাতেই বাজি মারবে চিন। কারণ মার্কিন সেনার অস্ত্রশস্ত্র অত্যন্ত দামি এবং ঝটিকা যুদ্ধে তুলনামূলকভাবে কম কার্যকর। দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে সেগুলি সুবিধা দিলেও, স্বল্প সময়ে চিনের সস্তা কিন্তু কার্যকর অস্ত্র অনেক এগিয়ে।

জলে, স্থলে বা আকাশে, তাইওয়ান নিয়ে চিনের সঙ্গে যুদ্ধে নামলে আমেরিকার হার নিশ্চিত। এখন লড়াই হলেও হার, পাঁচ বছর পরেও হার। সোজাসাপ্টা ভাষায় এই কথাই বলেছিল পেন্টাগন। রিপোর্ট ছিল টপ সিক্রেট। কিন্তু সেই রিপোর্টের সবচেয়ে সেনসেটিভ অংশ ফাঁস হয়ে যাওয়ায় কার্যত তোলপাড় ওয়াশিংটনে। ট্রাম্প প্রশাসন, পেন্টাগন এবং ইউএস ডিফেন্স সিস্টেমে চাপ চরমে। একাধিক প্রতিরক্ষা কর্তার চাকরি ঝুলে রয়েছে বলে খবর।

মার্কিন কংগ্রেসে এই মুহূর্তে সারা বছরের কাজকর্ম খতিয়ে দেখা এবং একাধিক ব্রিফিং চলছে। সেই প্রেক্ষিতেই গত ১৯ নভেম্বর তাইওয়ানে মার্কিন প্রস্তুতি নিয়ে রিপোর্ট দেয় পেন্টাগনের ওয়ারফেয়ার অ্যাসেসমেন্ট অফিস। সেই রিপোর্টের মূল অংশ ফাঁস হয়ে গিয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, পিপলস লিবারেশন আর্মির ঝটিকা আক্রমণ সামলানোর ক্ষমতা আমেরিকার নেই। সংঘর্ষ যদি দেড় বা দু’দিনও চলে, তাতেই বাজি মারবে চিন। কারণ মার্কিন সেনার অস্ত্রশস্ত্র অত্যন্ত দামি এবং ঝটিকা যুদ্ধে তুলনামূলকভাবে কম কার্যকর। দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে সেগুলি সুবিধা দিলেও, স্বল্প সময়ে চিনের সস্তা কিন্তু কার্যকর অস্ত্র অনেক এগিয়ে।

রিপোর্টে শুধু চিন সাগর নয়, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কী কথা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। দুই দেশের তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তা শুধুই আনুষ্ঠানিক। এর বাইরেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেই ধারণা কূটনৈতিক মহলের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতকে বাদ দিয়ে আমেরিকার এগোনো কার্যত অসম্ভব। চিন ইতিমধ্যেই ওই অঞ্চলের প্রবেশপথগুলিতে নিজেদের প্রভাব বাড়িয়েছে। ঢোকার রাস্তা যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তাহলে শক্তিশালী জাহাজ আর বিপুল মিসাইল থাকলেও বাস্তবে তার ব্যবহার করা কঠিন।
পাশাপাশি, গত এক বছরে বিভিন্ন জলসীমায় একের পর এক ধাক্কা খেয়েছে মার্কিন নৌসেনা। ২৭ অক্টোবর মহড়ার সময় ইউএসএস নিমিত্‍স থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় একটি এফ/এ-১৮ এফ হর্নেট যুদ্ধবিমান এবং একটি এমএইচ-৬০ সি হক হেলিকপ্টার। দেড় মাস ধরে খোঁজ চালানোর পর সম্প্রতি সেগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। আশঙ্কা, এই সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারের বহু গোপন তথ্য চিনের হাতে চলে যেতে পারে। সেই কারণেই সংশ্লিষ্ট ঘাঁটি থেকে সব বিমান ও কপ্টার সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা।

এশিয়ায় জাপান ছাড়া আমেরিকার ভরসাযোগ্য অংশীদার খুব কম। অন্যদিকে চিনের পাশে রয়েছে রাশিয়ার মতো শক্তিশালী বন্ধু। এই বাস্তবতায় আমেরিকার কাছে ভারতের গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ছে। সেই কারণেই রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও, ট্রাম্পের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর যোগাযোগ অব্যাহত বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।