Pakistan Asim Munir: ট্রাম্প হবেন ‘শান্তির’ প্রতীক? ক্ষমতার ঘেরাটোপ পেরিয়ে ‘আকাশছোঁয়ার’ চেষ্টা মুনিরের
Donald Trump Nobel Prize: নানা দেশের সংঘাতের ট্রাম্প যেভাবে ঢুকে পড়ছেন, তাতে একাংশের দাবি, উনি সম্ভবত নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য নিজের পথ প্রশস্ত করছেন। এরপরই পাক সেনাপ্রধানের মুখেও উঠে এল সেই শান্তি পুরস্কার প্রসঙ্গ।

নয়াদিল্লি: বুধবার পাকিস্তানের সেনা প্রধানের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজন সারলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নানা টালবাহানার পর অবশেষে হোয়াইট হাউস স্বীকার করেছে মুনিরের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা। আর তারপর থেকেই পারদ চড়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। ট্রাম্প এবার কাশ্মীর ইস্যুতে নাক গলাতে চাইছেন বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
এদিন যেমন একাধারে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির জন্য অসিম মুনিরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। ঠিক তার পাল্টা ট্রাম্পের নাম নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনয়নের জন্য আবেদন জানাবেন বলে দাবি পাক সেনাপ্রধানের। মধ্যাহ্নভোজন সেরে আসিম মুনিরের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বৈঠক শেষে ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষ শেষের নেপথ্যে আসিম মুনিরের অবদান অনেকটা। পাকিস্তানের তরফ থেকে তিনি প্রথম এই পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতের তরফ থেকে সংঘর্ষ থামানোর সিদ্ধান্ত নেন। এই দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর। তাই তাদের থামানো প্রয়োজন ছিল।’
নানা দেশের সংঘাতের ট্রাম্প যেভাবে ঢুকে পড়ছেন, তাতে একাংশের দাবি, উনি সম্ভবত নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য নিজের পথ প্রশস্ত করছেন। এরপরই পাক সেনাপ্রধানের মুখেও উঠে এল সেই শান্তি পুরস্কার প্রসঙ্গ।
কিন্ত মুনিরের আবেদনে ‘শান্তির প্রতীক’ হয়ে উঠবেন ট্রাম্প?
নোবেল কমিটির নিয়ম কিন্তু সেরকম বলছে না। নোবেল ফাউন্ডেশনের নীতিমালা অনুযায়ী, কোনও রাষ্ট্রপ্রধান, সংসদের নির্বাচিত সদস্য, উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পূর্বে নোবেল পাওয়া কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তিই কারওর নাম মনোনয়নের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন।
কিন্তু আসিম মুনির, তিনি নির্বাচিত সদস্যও নন। কোনও রাষ্ট্রের প্রধানও নন। আবার পূর্বে নোবেল পাননি। তিনি সেনাপ্রধান। যার জেরে কোনও মতে ট্রাম্পের নাম মনোনয়নের আবেদন জানানোর অধিকার নেই। নীতিমালা বলছে, এটা মুনিরের ক্ষমতা বহির্ভূত।
তারপরেও কেন এমন বললেন তিনি?
ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, পাকিস্তানের এখন ট্রাম্পকে প্রয়োজন। সংঘর্ষবিরতি ভারতকে রাজি করাতে পারলেও, বৈঠকের এখনও কোনও বালাই নেই। এমনকি সিন্ধুর ভবিষ্যৎ নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ভারত কমপক্ষে বৈঠকেও রাজি হলে সোনার ডিম পাওয়ার মতো ব্যাপারটা উপভোগ করতে পারবে তারা।

