ওয়াশিংটন: মার্কিন প্রেসিডেন্টের অ্যাকাউন্ট পাকাপাকিভাবে নিষিদ্ধ করেছে টুইটার। আর এই অত্যন্ত সাহসী পদক্ষেপের নেতৃত্বে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজয়া গদে। অভিযোগ, নীতি লঙ্ঘন করে টুইটের মাধ্যমেই সমর্থকদের উসকানি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)।
বিজয়া গদে হলেন টুইটারের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী। তিনি টুইটারের নীতি-নিরাপত্তা প্রধান। ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ ঘোষণা হওয়ার পর বিজয়া টুইট করে লিখেছিলেন, “ফের হিংসার ঝুঁকি থাকার কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা আমাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তথ্য দিয়েছি। আপনারা চাইলে পড়তে পারেন।”
ভারতে জন্মেছিলেন বিজয়া। ছোটবেলায়ই বাবা-মায়ের সঙ্গে পাড়ি দেন মার্কিন মুলুকে। পেশায় কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন বিজয়ার বাবা। নিউ জার্সি থেকে হাই স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেন বিজয়া। এরপর কর্নেল ইউনিভার্সিটি ও নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ল স্কুলে আইন নিয়ে পড়াশোনা। ২০১১ সালে টুইটারে কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর ক্রমেই টুইটারে সপ্রতিভ হন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। অধুনা সারা বিশ্বের রাজনীতিতে টুইটারের জনপ্রয়িতার নেপথ্যেও তাঁরই চিন্তা-ভাবনা।
গত বছর যখন ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন টুইটারের সিইও ডোরসে। তখন ওভাল অফিসেই ছিলেন বিজয়া। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ডোরসের মিটিংয়েও ছিলেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। দলাই লামার সঙ্গে ডোরসের ছবিতে দলাই লামার হাত ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিজয়া গদে। এই বিষয়গুলি স্পষ্ট করে যে টুইটারের নীতি নির্ধারণে তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পলিটিকো ম্যাগাজিনে বিজয়াকে ‘দ্য মোস্ট পাওয়ারফুল সোশ্যাল মিডিয়া এগজিকিউটিভ ইউ হেভ নেভার হার্ড অব’-এর তকমা দেওয়া হয়েছে। ইনস্টাইল ম্যাগাজিনে ‘দ্য ওম্যান হু আর চেঞ্জিং দ্য ওয়ার্ল্ড’-এর তালিকায় নাম রয়েছে বিজয়ার।
আরও পড়ুন: করোনার কোপ, অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত ঐতিহাসিক ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’