করোনার কোপ, অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত ঐতিহাসিক ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’
ঢাকা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারিতে শারীরিকভাবে ফেব্রুয়ারিতে সম্ভব নয় বইমেলার আয়োজন।
ঢাকা: “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি। আমি কি ভুলিতে পারি।” বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনকে মান্যতা দিয়ে গোটা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয় ২১ ফেব্রুয়ারি। আর সেই একুশে ফেব্রুয়ারিকে মানুষের মনের আরও কাছে নিয়ে যেতেই প্রতিবার ঢাকা একাডেমি প্রাঙ্গনে গোটা ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে চলে অমর একুশে বই মেলা (Book fair)। করোনার প্রকোপে পিছিয়ে গেল সেই ঐতিহ্যবাহী মেলাও। ঢাকা বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারিতে শারীরিকভাবে ফেব্রুয়ারিতে সম্ভব নয় বইমেলার আয়োজন। অর্থাৎ আপাতত অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত ‘অমর একুশে গ্রন্থ মেলা।’
করোনা পরিস্থিতিতে সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক ‘ভার্চুয়ালি’ বইমেলা আয়োজনের সুপারিশ করেছিল। কিন্তু ঐতিহ্যশালী এই মেলা খোলা আকাশের নীচে করার পক্ষেই মত প্রকাশকদের। তাই অনলাইনে আপাতত বইমেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে সশরীরে বইমেলার আয়োজনও করতে পারছে না একাডেমি। অর্থাৎ স্থগিত রাখা ছাড়া কোনও উপায় নেই।
করোনার সামগ্রিক রেখাচিত্র নিম্নমুখী হলেও দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভেসেছে বাংলাদেশেও। ভারতে ভ্যাকসিন এলেও এখনও গতি হারায়নি করোনা। তাই পশ্চিমবঙ্গের আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছেন গিল্ড কর্তৃপক্ষ। এবার সেই পথেই ঢাকা বাংলা একাডেমি।
আরও পড়ুন: ইতিহাসে প্রথম, ফের ট্রাম্পকে ইমপিচমেন্ট করার পথে মার্কিন কংগ্রেস!
বাংলাদেশের জ্ঞান ওসৃজনশীল প্রকাশক সমিতি চায় ফেব্রুয়ারিতে শুরু হোক বইমেলা শেষ হোক মার্চে। কিন্তু সেই প্রস্তাবে কার্যত সায় দেয়নি একাডেমি। তবে এই সিদ্ধান্ত সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে এখনও প্রকাশক সংগঠনের হাতে এসে পৌঁছয়নি বলে জানিয়েছেন প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদা আহমেদ। ঐতিহাসিক এই বইমেলার পথচলা শুরু ১৯৭২ সালে। তখন চট বিছিয়ে বই বিক্রি শুরু করেছিলেন মুক্তধারা প্রকাশনীর মালিক চিত্তরঞ্জন সাহা। এরপর ৭৭-এ যোগ দেন আরও কয়েকজন। ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমির সঙ্গে যুক্ত হয় এই বইমেলা। আর ১৯৮৩ সালে এই বইমেলার নাম হয় ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা।’