Single Mother: সিঙ্গল মহিলারাও চাইলে সন্তানের জন্ম দিতে পারেন, অনুমতি প্রশাসনের
ছয় দশকের মধ্যে গতবছর চিনের জনসংখ্যার রেকর্ড পতন ঘটে। তার নিরিখেই এবার দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছে শি জিনপিংয়ের সরকার।
বেজিং: মা হওয়ার জন্য বিবাহিত হওয়া জরুরি নয়। এবার অবিবাহিত বা সিঙ্গল মহিলারাও চাইলে সন্তানের জন্ম দিতে পারেন। সম্প্রতি এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে চিনের দক্ষিণ-পশ্চিমের প্রদেশ সিচুয়ান। দেশে জনসংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যেই সন্তান প্রসবে উৎসাহিত দিতে এবার এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে সিচুয়ানের স্বাস্থ্য দফতর। শুধু তাই নয়, সিঙ্গল মহিলারাও মাতৃত্বকালীন ছুটি, এমনকি মাতৃত্বকালীন ইনসিওরেন্সও পাবেন।
এতদিন কেবল বিবাহিত মহিলাদেরই সন্তান জন্ম দেওয়ার অধিকার ছিল। তাও দুইয়ের বেশি সন্তান নয় বলে চিন সরকারের তরফে গোটা দেশে কড়া নির্দেশিকা জারি ছিল। কিন্তু, বর্তমানে ফের দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছে বেজিং। তাই জন্মহার বাড়াতে সিঙ্গল মহিলাদেরও সন্তান জন্ম দেওয়ার অনুমতি দিল সিচুয়ান সরকার।
সিচুয়ান স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সিঙ্গল মহিলাদের সন্তান প্রসবের অনুমতি দিয়ে ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘দীর্ঘমেয়াদি এবং ভারসাম্যপূর্ণ জনসংখ্যার বৃদ্ধির প্রচারে’র লক্ষেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে সিচুয়ান প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশে জনসংখ্যার হারে শীর্ষে ছিল চিন। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ কয়েক বছর ধরেই জন্মহারে কড়া বিধি লাগু করেছিল বেজিং। কেবল বিবাহিত মহিলারাই সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন এবং কোনও দম্পতির দুইয়ের বেশি সন্তান নয় নীতি চালু ছিল চিনে। এই নীতির ব্যতিক্রম ঘটলে আর্থিক জরিমানা, এমনকি জেল পর্যন্ত দেওয়ার নিয়ম চালু ছিল। কিন্তু, টানা এই বিধি চলার জেরে সম্প্রতি চিনে জন্মহার অত্যন্ত নেমে গিয়েছে। ছয় দশকের মধ্যে গতবছর চিনের জনসংখ্যার রেকর্ড পতন ঘটে। তার নিরিখেই এবার দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছে শি জিনপিংয়ের সরকার। দুই সন্তান নীতিও প্রত্যাহার করেছে বেজিং। এবার সিঙ্গল মহিলাদের সন্তান প্রসবেও অনুমতি দিল বর্তমানে জনসংখ্যার নিরিখে চিনের পঞ্চম স্থানাধিকারী প্রদেশ সিচুয়ান।
ষাটোর্ধ্ব জনগণের নিরিখে চিনে সিচুয়ানের স্থান সপ্তামে এবং দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ২১ শতাংশ রয়েছে এই প্রদেশে। তাই জনসংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সন্তান জন্ম দেওয়ায় উৎসাহ দিতেই এবার বিশেষ উদ্যোগ নিলা সিচুয়ান প্রশাসন।