
ওয়াশিংটন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে বিভিন্ন দেশের উপরে শুল্ক চাপিয়েছেন, তা বেআইনি বলল মার্কিন আপিল আদালত। শুক্রবার এই পর্যবেক্ষণ রাখে আদালত। তবে এখনই সেই শুল্ক বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সুপ্রিম কোর্টে এই শুল্ক নিয়ে লড়াই করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
শুল্ক নিয়ে নিজের মনমর্জি চালিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কোনও দেশের উপরে ১২ শতাংশ, কোনও দেশের উপরে ৩১ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন। ভারতের উপরে তো ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে বসে রয়েছেন। তবে ট্রাম্পের এই শুল্ককে মান্যতা দিতে চাইছে না মার্কিন আদালতই।
শুক্রবার (৩০ অগস্ট) মার্কিন আপিল আদালত রায় দেয় যে বিশ্ব বাণিজ্যের উপর প্রভাব ফেলেছে এমন অনেক শুল্কই বেআইনি। তবে আপাতত সেগুলি বহাল রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যার ফলে তাকে সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন আদালতের এই রায়ের প্রতিক্রিয়া দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজের সোশ্যাল মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, “সমস্ত ট্য়ারিফ কার্যকর রয়েছে! অনায্যভাবে আপিল আদালত আমাদের ট্যারিফ সরানোর কথা বলেছে, কিন্তু তারাও জানেন যে শেষপর্যন্ত আমেরিকাই জিতবে। যদি এই ট্যারিফ তুলে নেওয়া হয়, তবে দেশের জন্য তা বিপর্যয় হবে। এটা আমাদের আর্থিকভাবে দুর্বল করে দেবে। আমাদের শক্তিশালী হতে হবে।”
ট্রাম্প আরও লেখেন, “আমেরিকা বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি আর বরদাস্ত করবে না। অন্য দেশের চাপানো অনায্য শুল্ক, বিনা শুল্কে বাণিজ্যের নিয়ম মানবে না, তা সে বন্ধু হোক বা শত্রু। যদি তাদের সুযোগ দেওয়া হয়, তবে এই সিদ্ধান্ত আমেরিকাকে ধ্বংস করে দেবে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্টের যুক্তি, কর্মী ও বিভিন্ন সংস্থা, যারা মেড ইন আমেরিকা পণ্য তৈরি করে, তাদের সমর্থন করার সবথেকে ভাল উপায় হল শুল্ক।
শুক্রবার আমেরিকার আপিল আদালত ৭-৪-এ বিচারপতিরা রায় দেন। আদালতের তরফে বলা হয়, বিভিন্ন দেশের উপরে শুল্ক চাপাতে ইমার্জেন্সি ইকোনমিক পাওয়ার বা জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা অতিরিক্ত ব্যবহার করেছেন ট্রাম্প। তবে আগামী অক্টোবর মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত মার্কিন শুল্ক সমস্ত দেশের উপরে কার্যকর থাকবে। এই সময়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন। ট্রাম্প নিজেও জানিয়েছেন যে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন শুল্ক নিয়ে লড়াই করতে।