অগস্টেই আফগান মাটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার, ভবিষ্যতেও সাহায্যের আশ্বাস বাইডেনের

জ্যোতির্ময় রায় | Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত

Jul 09, 2021 | 6:52 PM

US Army: ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার নিউইয়র্কে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বিমান নিয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকেই মার্কিন সেনারা আফগানিস্তানের মাটিতে থেকে তালিবানের সঙ্গে যুদ্ধ করে আসছে।

অগস্টেই আফগান মাটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার, ভবিষ্যতেও সাহায্যের আশ্বাস বাইডেনের
ছবি-টুইটার

Follow Us

আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই আফগানিস্তানের মাটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কাজ শেষ হতে চলেছে। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগতও জানান তিনি। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার নিউইয়র্কে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বিমান নিয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকেই মার্কিন সেনারা আফগানিস্তানের মাটিতে থেকে তালিবানের সঙ্গে যুদ্ধ করে আসছে।

আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় তালিবানের সঙ্গে করা একটি চুক্তি অনুযায়ী, ২০২১ সালের মে মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু জানুয়ারিতে বাইডেন হোয়াইট হাউসে আসার পর মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এ বার বাইডেন জানিয়েছেন, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যে সেনা প্রত্যাহারের কাজ সম্পন্ন হবে। বাইডেনের বিশ্বাস, তালিবান কোনওদিন আফগানিস্তান দখল করতে পারবে না।

উল্লেখ্য, বর্তমানে আফগানিস্তানের কাছে মোট ৩ লক্ষ সুপ্রশিক্ষিত নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে। অন্যদিকে, তালিবানের কাছে রয়েছে ৭৫ হাজার সদস্য। সূত্রের খবর, আমেরিকা সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের পরেও আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দর, মার্কিন দূতাবাস ছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গার নিরাপত্তার জন্য ৬৫০ থেকে এক হাজার মার্কিন সৈনিক আফগান মাটিতেই থাকবে।

আরও পড়ুন: পরপর বের করে আনা হয়েছে ৫২টি দেহ, রাতভর জ্বলল কারখানা

বাইডেন আফগান নেতাদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, মার্কিন সৈন্য আফগানিস্তান থেকে ফিরে চলে এলেও আমেরিকার সহায়তা সর্বদা অব্যাহত থাকবে। আমেরিকার সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত আফগান নেতাদেরও প্রয়োজন পড়লে সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি।

বর্তমান পরিস্থিতির কারণে অনেক দেশই আফগানিস্তান থেকে তাদের দূতাবাস বন্ধ করতে শুরু করেছে। উত্তর বালখ প্রদেশের রাজধানী এবং আফগানিস্তানের চতুর্থ বৃহত্তম শহর মাজার-ই-শরীফে তুর্কিতেও রাশিয়ার কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইরান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, ভারত ও পাকিস্তানের কনস্যুলেটের পরিষেবা সীমিত ভাবে কাজ করছে।

আরও পড়ুন: ‘হাসিনা দি হাড়িভাঙ্গা আম আমি আগে কখনও খাইনি’, শেখ হাসিনাকে চিঠিতে লিখলেন ‘আপ্লুত’ মমতা

Next Article