AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh: উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ৩৫ লক্ষ ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে আমেরিকা, টিকা পাঠাচ্ছে ভারতও

Covid Vaccine: বাংলাদেশে দশ লক্ষ ডোজ করোনা ভাইরাসের টিকা পাঠানোর অনুমতি পেয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট।

Bangladesh: উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ৩৫ লক্ষ ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে আমেরিকা, টিকা পাঠাচ্ছে ভারতও
ফাইল চিত্র
| Edited By: | Updated on: Oct 27, 2021 | 11:59 PM
Share

ঢাকা: যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলছে বাংলাদেশে। আর এই পরিস্থিতিতে ঢাকার পাশে দাঁড়াল আমেরিকা। উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে আরও ভ্যাকসিন উপহার হিসেবে দিল আমেরিকা। নতুন করে ৩৫ লক্ষ ফাইজারের ডোজ বাংলাদেশকে পাঠাল আমেরিকা। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশকে মোট ১ কোটি ৫০ লক্ষ ডোজ় টিকা দিয়েছে আমেরিকা। আর এই ভ্যাকসিন পাওয়ার পর থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলছে।

বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাসের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই তথ্য দেওয়া হয়েছে। মার্কিন দূতাবাসের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, চলতি বছরের শুরুতে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিট্রেশন ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ফাইজার-বায়োটেক করোনা টিকা অনুমোদন করেছে। মানিকগঞ্জে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহারের পর মার্কিন অনুদান দেওয়া টিকাগুলি বাংলাদেশ সরকারকে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী বাংলাদেশিদের দেওয়া হবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বলেছেন, বাংলাদেশকে আরও ৩৫ লাখ ডোজ টিকা অনুদান দিতে পেরে আমেরিকা আনন্দিত। এছাড়াও আমরা বাংলাদেশি শত শত স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছি যাতে তারা ফাইজারের এই টিকাগুলো ১২ এবং বেশি বয়সী শিশুদের নিরাপদে দিতে পারে। এই টিকা তরুণ বয়সী বাংলাদেশিদের বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষা পেতে সহায়তা করবে বলে দাবি করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। শুধু তাই নয়, লেখাপড়া এবং অন্যান্য কাজ সঠিক ভাবে চলবে বলেই আশা রাখেন আর্ল মিলার।

অন্যদিকে বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দিতে চলেছে ভারত। বাংলাদেশে দশ লক্ষ ডোজ করোনা ভাইরাসের টিকা পাঠানোর অনুমতি পেয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। গত কয়েকদিন আগে ফের একবার বিশ্বকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আর এরপরেই বিশ্বকে ভ্যাকসিন দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।

জানা গিয়েছে, অক্টোবর মাসেই ভারত সরকারের ভ্যাকসিন মৈত্রী কর্মসূচির আওতায় নেপাল এবং মায়ানমারকে দশ লক্ষ ডোজ় করে টিকা পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা ‘কোভিশিল্ড’ কিনতে গত বছরের নভেম্বরে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি করে বাংলাদেশ।

এরপর জানুয়ারিতে ৬০০ কোটি টাকার বেশি অগ্রিম হিসেবে দেয় সরকার, যা টিকার মোট দামের অর্ধেক। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা ছিল। গত ২৫ জানুয়ারি প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ় এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ় টিকা আসে বাংলাদেশে। পাশাপাশি ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২১ জানুয়ারি আরও ২০ লাখ ডোজ় এবং ২৬ মার্চ ১২ লাখ ডোজ় কোভিশিল্ড পেয়েছে বাংলাদেশ। মার্চে ভারতে করোনাভাইরাস মহামারি চরম আকার নিলে টিকা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেই মতো বন্ধ ছিল রফতানি। ফের নতুন করে বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দিতে চলেছে ভারত।

আরও পড়ুন: Har Ghar Dastak: টিকাকরণ নিয়ে বড় ঘোষণা কেন্দ্রের! বাড়িতে গিয়ে ভ্যাকসিন দেবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা