Man Found Dead in Jail: লেগে রয়েছে মল, বাসা বেঁধেছে উকুন, কারাগার থেকে উদ্ধার বন্দির দেহ, প্রশ্নের মুখে জেল কর্তৃপক্ষ

Man Found Dead in Jail: আটলান্টার জেল থেকে উদ্ধার বন্দির মৃতদেহ। মৃতদেহের উপর মল লেগে ছিল। বাসা বেঁধেছিল উকুনও। বন্দির দেহে ওজন ১৮ শতাংশ কমে গিয়েছিল। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে বন্দির পরিবার।

Man Found Dead in Jail: লেগে রয়েছে মল, বাসা বেঁধেছে উকুন, কারাগার থেকে উদ্ধার বন্দির দেহ, প্রশ্নের মুখে জেল কর্তৃপক্ষ
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 23, 2023 | 9:07 AM

ওয়াশিংটন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ বন্দিকে অত্যাচারের অভিযোগ উঠল জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সেদেশের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আটলান্টার জেলে এক বন্দির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁর মৃতদেহ মলে ঢেকে ছিল। উকুন গিজগিজ করছিল মৃতদেহের উপর। ওই বন্দিকে একমাস ধরে ঠিকভাবে খাবার ও সিজ়োফ্রেনিয়ার ওষুধও দেওয়া হয়নি বলে জানা যায়। মৃতদেহ পরীক্ষা করে দেখা যায়, অপুষ্টিতে ভুগছিলেন ওই কৃষ্ণাঙ্গ বন্দি থম্পসন।

গত বছর কর্তৃপক্ষের অবহেলায় জেলেই মৃত্য়ু হয় থম্পসনের। ফুলটন কাউন্টির আধিকারিক জর্জিয়া করোনার গত সেপ্টেম্বরে জানান, ৩৫ বছর বয়সী লাসান থম্পসনের মৃত্যুর কারণ অজানা। থম্পসনের মৃত্যুর পরই তাঁর পরিবারের তরফে এক মেডিক্যাল পরীক্ষক ঠিক করা হয়। থম্পসনের মৃতদেহ পরীক্ষা করার পর রজার মিশেল জানান, তাঁর স্বাস্থ্যের অবহেলা করা হয়েছে। তিনি জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘খুনের’ অভিযোগ করেন। গতকাল থম্পসনের পরিবার মিশেলের এই রিপোর্ট প্রকাশ করে। আর থম্পসনের মৃত্যুর জন্য আধিকারিকদের দায় স্বীকার করার দাবি জানায়। আমেরিকায় আফ্রিকান-আমেরিকানদের উপর পুলিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য স্বনামধন্য আইনজীবী বেন ক্রাম্প বলেন, ৯৩ দিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ নাগরিকের স্বাস্থ্যের কথা ভাবা হয়নি। তিনি বলেন, “এটা পরিষ্কার যে এটা কোনও স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল না। এটা পরিকল্পিত হত্যা।”

২০২২ সালের ১২ জুন আটলান্টার একটি শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রের বাইরে একটি পার্কে ঘুমানোর সময় থম্পসন নামের ওই কৃষ্ণাঙ্গ গৃহহীন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ ছিল। তবে পুলিশ আধিকারিকদের উপর থুতু ফেলার অভিযোগে তাঁকে জেলে পাঠানো হয়। জামিনের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা দিতে না পারায় তাঁকে কারাগারেই দিন কাটাতে হচ্ছিল। মিশেলের রিপোর্ট অনুযায়ী, কারাবাসের প্রথম দুই মাস থম্পসনের অবস্থা ভালই ছিল। ২৭ শে জুলাই কারাগারের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষক তাঁকে বাইপোলার এবং স্কিজোএফেক্টিভ ডিসঅর্ডারের জন্য ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেয়। কিন্তু মিশেল বলেন, পরবর্তী ৪৩ দিন ধরে তাঁর স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার কোনও রেকর্ড নেই। থম্পসনের মৃতদেহের পরীক্ষা করে মিশেল দেখেন, তিনি অপুষ্টি এবং ডিহাইড্রেশনে ভুগছিলেন। তার দেহের ওজন ১৮ শতাংশ কমে গিয়েছিল। গোটা শরীর উকুনে ভরে গিয়েছিল। ক্রাম্প স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে এই মৃত্যুর তদন্ত দাবি করেছেন। তবে তিনি সরাসরি কাউকে হত্যার জন্য অভিযুক্ত করেননি বা দেওয়ানি মামলা দায়ের করেননি।