
ওয়াশিংটন: বিশ্ব কি আর একটা যুদ্ধের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে? এবার কি ভেনেজুয়েলায় আক্রমণ চালাবে আমেরিকা? গত কয়েকমাসে বিশ্বজুড়ে একাধিক যুদ্ধ থামানোর দাবি করা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পই কি ভেনেজুয়েলায় আক্রমণের জন্য আমেরিকার সেনাকে অনুমতি দেবেন? সেই জল্পনা খারিজ করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বরং ভেনেজুয়েলায় ড্রাগ মাফিয়াদের শেষ করতে হামলার কথা তিনি বিবেচনা করছেন।
সূত্রের খবর, ভেনেজুয়েলার ড্রাগ মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য রুখতে পুরোদস্তুর হামলার পরিকল্পনা করছে পেন্টাগন। অন্তত ১০টি ‘এফ-৩৫’ যুদ্ধবিমান ট্রাম্পের সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায়। পুয়েতো রিকো-র মার্কিন সেনাঘাঁটিতে বাড়ছে যুদ্ধবিমানের ভিড়। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করছে আমেরিকা। ভেনেজুয়েলার ড্রাগ মাফিয়াদের ‘নারকো-টেররিস্ট’ বলেছে ওয়াশিংটন।
আমেরিকা যখন চাপ বাড়াচ্ছে, তখন ভেনেজুয়েলাকে পিছন থেকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে বেজিং। চিনা যুদ্ধবিমান জে-১০ কেনার চুক্তি করে ফেলেছেন মাদুরো। তিনি রাশিয়ারও সমর্থন পেয়েছেন। ফলে এখনই আমেরিকার চাপের কাছে মাথা নত করছে না ভেনেজুয়েলা। ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মাদুরো বলেছেন, যদি আমেরিকা তাঁদের দেশে হামলার দুঃসাহস করে, তবে পাল্টা জবাব দেবে ভেনেজুয়েলা। প্রয়োজনে পুরোপুরি যুদ্ধের জন্যে ভেনেজুয়েলা প্রস্তুত বলে ট্রাম্প প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। কয়েকদিন আগেই মার্কিন রিপার ড্রোনের হামলায় ১১ জন ড্রাগ পাচারকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন ট্রাম্প। যদিও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট পালটা দাবি করেন, যাঁরা মার্কিন হানায় মারা গেছেন, তাঁরা সাধারণ মানুষ।
কূটনীতিকরা বলছেন, আসলে ট্রাম্প চান ভেনেজুয়েলায় মাদুরো জমানা শেষ করতে। ক্যারাবিয়ান দ্বীপে ইতিমধ্যেই মার্কিন রণতরী-ও মজুত। পুয়েতো রিকো-তে মার্কিন সেনার মহড়ার ছবি সামনে এসেছে। তাহলে কি শান্তিতে নোবেল পেতে উন্মুখ ট্রাম্প নিজেই এবার যুদ্ধের নির্দেশ দেবেন? সবমিলিয়ে বিশ্বজুড়ে আরও একটা যুদ্ধের দামামা বাজছে এই মুহূর্তে।