
দু-দশক আগে ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জেমস ও’নিল যখন প্রথমবার ব্রিকস কথাটা বলেন, তখন বোধহয় তাঁর ধারণাও ছিল না যে একদিন এই ব্রিকসই দুনিয়ার অন্যতম শক্তিশালী জোটে পরিণত হবে। এতটাই যে প্রায় প্রতিদিন নিয়ম করে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্রিকসকে হুমকি, হুঁশিয়ারি দিয়ে যাবেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এনিয়ে চারবার। একমাসে চারবার ব্রিকসকে হুঁশিয়ারি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার রাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বললেন, “ডলারের বিকল্প মুদ্রা আনার চিন্তাটাই হাস্যকর। ব্রিকস একটা মৃতপ্রায় সংগঠন। তবে, ব্রিকসের দেশগুলো আলাদা মুদ্রা আনার চেষ্টা করলে আমরা ওদের পণ্যে ১৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক চাপিয়ে দেব। ওদের ব্যবসা-বাণিজ্য সমস্ত বন্ধ হয়ে যাবে।” ভারত কয়েকদিন আগেই বলে দিয়েছে এখনই ডলারের বিকল্প খোঁজার কোনও প্রয়োজন নেই। সরকার সেই চেষ্টাও করছে না। তবে, ট্রাম্পের হুমকির পরপরই জুলাইয়ে আগাম ব্রিকস সম্মেলন ডেকে দেয় জোটের অনগোয়িং প্রেসিডেন্ট কান্ট্রি ব্রাজিল। ব্রাজিল বলেছিল যে ব্রিকস কারেন্সি আসবে এবং আসবেই। ভারত এই নিয়ে কী ভাবছে?
অর্থমন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, “আমাদের অবস্থান পাল্টায়নি, একই আছে। আমরা ডলারের বিকল্প চাইছি। তবে, এখনই ব্রিকস কারেন্সি নিয়ে কিছু বলার সময় আসেনি। ভারত বরং বিকল্প পথে ডলার নির্ভরতা কমাতে চাইছে। কোন পথে? অর্থমন্ত্রকের ওই কর্তার বক্তব্য, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার তহবিলে ডলারের পরিমাণ কমিয়ে সোনা মজুত বাড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। আরবিআইয়ের সঙ্গে যৌথভাবে সেই কাজ চলছে। এভাবেই আমরা ডি-ডলারাইজেশনের পথে হাঁটতে শুরু করেছি। আগামী তিন বছরে ডলার রিজার্ভ কমিয়ে সোনার পরিমাণ ২০ শতাংশ বাড়াতে চায় সরকার।